কোরবানি অতি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য ও আহকাম কোরবানির দিনের ফজিলত চলেন জেনে নেই। এটি হচ্ছে আমাদের মুসলিম জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ একটি হজের দিন। আমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করে থাকি। হাদিসে এসেছে ইবনে ওমর রাজিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে তিনি প্রশ্ন করেন কুরবানী কেন দেওয়া হয়। তিনি উত্তরে বলেন ইয়াওমুন্নাহার বা কোরবানির দিন রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এটা হল ইয়আওমুল আকবর বা সৃষ্টির সেরা ও হজের দিন।
কোরবানির দিনটি হল আমাদের জন্য সেরা একটি দিন। আব্দুল্লাহ ইবনে রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিনটি হলো কোরবানির দিন বা তার পরবর্তী তিন দিন।
ঈদের দিনে আমাদের যা করণীয় সেগুলো হলো:-
- জামাতের সাথে ঈদের সালাত আদায় করা।
- ঈদের সালাতের জন্য আতর বা সুরমা ব্যবহার করা।
- পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা।
- তাকবীর পাঠ করা।
- কুরবানীর পশু জবাই করার পর সেই মাংসটি তিন ভাগে বিভক্ত কর। এমনকি একটি ভাব জামাতে পৌঁছে দেওয়া, একটি ভাব আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী সবার মাঝে ভাগ করে দেওয়া। আরেকটি ভাব নিজেদের জন্য সংরক্ষণ করা বা রান্না করে খাওয়া।
কোরবানির তিনটি হল আমাদের মুসলমান জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন, এই দিনে সালাতের মাধ্যমে আমরা সবাই একত্র হতে পারি। এবং একই সাথে জামাতে সালাত আদায় করতে পারি। তাই আমাদের সবার উচিত সবার কাছ থেকে আমাদের পূর্বের যত ভুল ক্ষমা চেয়ে নতুন ভাবে আবারো দিন শুরু করবে।
দিকটি মাথায় রাখতে হবে যাতে আমাদের ভেতরে কোন অহংকার বা হিংসা কাজ না করে। আমরা একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে কোলাকুলির মাধ্যমে একত্রিত হতে পারে।
কোরবানি অতি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য ও আহকাম
কোরবানি ইসলামিক ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোমাঞ্চকর অনুষ্ঠান। এটি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব, একটি ধর্মীয় উপাস্য এবং সামাজিক ও মানসিক মানুষের সহিংসতা এবং দানের প্রতীক। কোরবানি ইসলামিক দিন ঈদ উল আযহা এর অংশ।
কোরবানির মূল তাৎপর্য হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার প্রকাশ করা। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আমল যা মুসলিমদের আল্লাহর পথে আরও নিকটস্থ করে তুলে ধরে। এটি আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্য এবং তাঁর দ্বীনের মধ্যে সম্পূর্ণ সাম্য উপস্থাপন করে।
আহকাম হলো কোরবানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নিয়ম ও শর্তাবলী। ইসলামিক শরিয়তে কোরবানি পরিপূর্ণ করার জন্য কিছু আহকাম বর্ণিত করা হয়েছে। কোরবানির জন্য পশুর যথাসাধ্য সুস্থ এবং পূর্ণ বয়স্ক হতে হয়। কোরবানি করতে হয় নিশ্চিত নিয়মিত সময় এবং স্থানে। এছাড়াও কোরবানি গরু, ছাগল বা মেষ অথবা উদ্বেগ ছাড়া অন্য কোনও জীবিত পশুর সাথে করা উচিত।
কোরবানি
আমরা কোরবানির তিনে একটি পশু বা একাধিক পশু উৎসর্গ করে মহান আল্লাহ তায়ালা নিকট শরীক হয়ে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য তার দেখানো পথে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তায়ালার আদেশ উপদেশ মেনে চলা।
আমাদের এই ছোট্ট জীবনের আমরা যে কাজ করি না কেন সবকিছুই মহান আল্লাহতালা দেখছেন যেমন আমরা সালাত আদায় করি সেটিও তিনি দেখছেন কুরবানী করি সেটিও তিনি দেখছেন আমার আমাদের জীবন মরণ পদ পরিচালনা করার একমাত্র তিনিই দেখছেন, তাই আমরা আমাদের ছোট ছোট ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো এবং আল্লাহ তা'আলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখানো পথে অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করব।
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে পশু কোরবানি করা বা পশু উৎসর্গ করা কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
আবু তোফায়েল থেকে বর্ণিত আমি আলী ইবনে আবু তালেবের কাছে উপস্থিত ছিলাম এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপনে আপনাকে কি বলেছেন বর্ণনাকারী বলেন আলী রাঃ এর কথা তিনি পশু কোরবানি কে মুসলমান জাতির জন্য ফরজ করে দিয়েছেন।
কোরবানির পশু জবাই করার নিয়ম
কোরবানি দাদা নিজের পশু নিজে জবাই করবেন যদি তিনি ভালোভাবে সবাই করতে পারেন কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রশ্ন নিজেই জবাই করতেন আর আল্লাহতালার কাছে পৌঁছানোর একটি মাধ্যম তাই যতভাবে চেষ্টা করবেন নিজের পশু নিজেই জবাই করা সাবিয়া আবু মুসা আস আরি জাল্লাল্লাহ দিয়েছেন।
তারা যেন নিজ হাতে নিজেদের কোরবানির পশু জবাই করেন তারে নির্দেশ দ্বারা প্রমাণিত হয় মেয়েরা কোরবানির পশু জবাই করতে পারেন তবে কোরবানির পশুর জবাই করার দায়িত্ব অন্যকে পূরণ করার যাবে না পূরণ করা জায়েজ আছে।
কেননা সাহসী মুসলমান হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ৬৩টি কুরবানীর পশু নিজ হাতে জবাই করেন বাকিগুলা জবাই করার দায়িত্ব আলীকে অপূর্ণ করে করেছেন।
জবাই করতে হয় তবে না হওয়ার করবেন না হওয়ার হলো উটটি তিন পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে আর সম্মুখের বাম্পার ভালো থাকবে তার বুকের শরীর চালানোর চালানো হবে কেননা আল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন শাড়ি বদ্ধ ভাবে দ্বন্দ্বমান অবস্থায় তাদের উপর তোমার আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো আরো বলেছেন যে এর অর্থ হল তিনি পায়েদায়ে থাকবে আর সামানের বাম্পার ভালো থাকবে।
সারসংক্ষেপে, কোরবানি ইসলামিক ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান যা মুসলিমদের আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠা প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে এবং তাঁর দিনের নিয়ম ও আহকাম অনুসরণ করতে বলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন