সাত দিনে ওজন বাড়ানোর চিন্তা অনেকের মাথায় আসে। ওজন বাড়ানোর জন্য অনেকেই খুব তারাহুরো করে। ওজন বাড়াতে বেশি তারাহুরো করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার যুকি রয়েছে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে সময় দিয়ে ওজন বাড়াতে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তারাহুরো করে ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অবৈজ্ঞানিক খাবার খেয়ে থাকেন যার কারণে শরীরে রোগ বালাই হওয়ার যুকি বেড়ে যায়। ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মেনে চলতে পারেন। দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার সারাদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন করতে পারেন। যেমনঃ
সকালের খাবার
ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি সকালে ডিম, দুধ, কলা খেতে পারেন। এইসব খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে। এইসব খাবার ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ বালাই হওয়ার থেকে বাঁচায়।
অনেকেই আছে দুধ খেতে পারেন না সেই ক্ষেত্রে অন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এই খাবার গুলো সকালেই খেতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। আপনার সারাদিনের যে কোনো মিলে রাখতে পারেন।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারের আপনি খাসির মাংস, গরুর মাংসের পাশাপাশি ডাল রাখতে পারেন। খাসির মাংস ও গরুর মাংস থেকে যেমন প্রোটিন পাই ডাল থেকেও তেমনি প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও ডাল একটি প্রিবায়োটিক খাবার। আমাদের নাড়িভুড়িতে কোটি কোটি জীবাণু বাস করে।
এই জীবাণু গুলো আমাদের শরীরের উপকারী জীবাণু। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নানান কাজে এই জীবাণু গুলো অংশ নেয়। ডালের কিছু উপাদান হলো এই জীবাণু গুলোর খাদ্য যা এদের সুস্থ ও জীবিত রাখে। এছাড়াও আপনি দুপুরে মুরগির মাংসও খেতে পারেন।
রাতের খাবার
ওজন বাড়ানোর জন্য রাতে বিশেষ কোনো খাবারের প্রয়োজন নেই। আমাদের শরীরের সবথেকে কম এনার্জি খরচ হয় রাতের বেলা। তাই রাতে অল্প খাবার খেলেও ওজন বাড়াতে কাজে লাগে। তাই রাতের খাবার হিসাবে আপনি আপনার পছন্দ মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে তৈলাক্ত, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না এই খাবার গুলো শরীরে চর্বি বাড়িয়ে দেয়।
টক দই খাওয়া
ওজন বাড়াতে আপনি আপনার সারাদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই রাখতে পারেন। টক দই যেহেতু দুধ দিয়ে তৈরি তাই টক দই এর সাথে দুধের পুষ্টিও পেয়ে যাবেন। এছাড়াও টক দই এ অনেক উপকারী জীবাণু থাকে।
এ ক্ষেত্রে আপনি বাহির থেকে উপকারী জীবাণু শরীরে ঢুকাচ্ছেন যা আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ বালাই হওয়ার থেকে দূরে রাখবে। অনেকেই আবার মিষ্টি দই খেতে চান তবে মিষ্টি দই এ অতিরিক্ত চিনি ও তৈলাক্ত জিনিস থাকার কারণে এটি শরীরে চর্বি বাড়িয়ে দিবে।
বাদাম খাওয়া
বাদাম ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান। আপনি যেকোনো বাদাম খেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। বাদাম খাওয়া সময় যে জিনিসটি খেয়াল রাখবেন বাদামের সাথে যেন অন্য কিছু মিশানো না থাকে। যেমন বাদামে অনেক সময় চিনি,লবণ মিশিয়ে খেয়ে ফেলি। প্রতিদিন ৭০-১০০ গ্রাম বাদাম খেলেই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ব্যায়াম করা
ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত ওজন বাড়াতে ব্যায়াম অনেকটাই সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি ১ দিন পর পর ব্যায়ামের সময় বাড়াতে পারেন। যেমন প্রথম দিন ৫ মিনিট ব্যায়াম করলে তার পরের দিন ১০ মিনিট করলেন এভাবে আস্তে আস্তে শরীরের মানিয়ে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে হবে।
প্রথম দিন ব্যায়াম করার পরদিন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হালকা ব্যথা হয়ে যায়। এ অবস্থায় ব্যায়াম বাদ দেওয়া যাবে না আপনি একদিন রেস্ট নিয়ে আবার শুরু করতে পারেন। বাসায় করার মতো অনেক ব্যায়াম আছে তার মধ্যে আপনার শরীরের সাথে মিলিয়ে যেকোনো ব্যায়াম করতে পারেন।
দ্রুত ওজন বাড়াতে আপনি এই সকল কাজ গুলো করতে পারেন। গবেষণা বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুযায়ী দ্রুত ওজন বাড়াতে এই সকল খাবার ও কাজ গুলো বেশি কার্যকারী। তাই আপনার সারাদিনের খাদ্য তালিকায় এই পরিবর্তন গুলো আনলে খুবই দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন