লবণ পানির গার্গেলে
লবণ পানির গার্গেলে আপনার কাশি দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে। ১ কাপ হালকা গরম পানিতে ১ চামুচ লবণ মিশিয়ে দিনে ৩,৪ বার গার্গল করতে পারেন। লবণ পানির গার্গেলে আপনার গলার খুসখুস ভাব দূর করে দিবে এবং গলা পরিষ্কার রাখবে। লবণ পানির গার্গেল টা বাচ্চাদের জন্য নয় কারণ বাচ্চারা ঠিক মতো গার্গেল করতে পারবে না। আপনি লবণ পানির গর্গেলের পাশাপাশি পান পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই।
মসলা চা
যাদের অতিরিক্ত কাশি বা কাশি বুকে বসে গেছে তারা এই মসলা চা পান পারেন। মসলা চা আপনার অতিরিক্ত কাশি খুব দ্রুত কমিয়ে দিবে। মসলা চা বানানোর জন্য বেশি কিছু উপকরণের প্রয়োজন নেই আপনি চায়ে লবঙ্গ, আদা, তেজপাতা ইত্যাদি মিশিয়ে সহজেই মসলা চা বানাতে পারেন। এছাড়াও মসলা চা বানানোর চা পাতিও বাজার থেকে কিনতে পারেন বাজারে তা খুব সহজেই পাওয়া যা। দিনে ২-৩ বার এই মসলা পান করলেই খুব দ্রুত ফল পেয়ে যাবেন।
তুলসীপাতা
কাশি দ্রুত দূর কারতে তুলসীপাতা অনেক ভালো কাজ করে। তুলসীপাতা গলা পরিষ্কার করে ও শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলে সাহায্য করে। আপনি চাইলে হালকা গরম পানিতে তুলসীপাতা দিয়ে পান করতে পারেন। ১ কাপ গরম পানিতে একটু আদা ও তুলসীপাতা দিয়ে পান করতে পারেন। দিনে ২-৩ বার পান কারলে ভালো উপকার পাবেন। আপনার অতিরিক্ত কাশি করতে তুলসীপাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
মধু
কাশি দূর করতে মধু খুব উপকারী একটি উপাদান। গবেষণা করেও পাওয়া গেছে আমাদের শ্বাসনালী পরিষ্কারের জন্য মধু খুব কার্যকারী উপাদান। প্রতিদিন ২-৩ বার মধু পান করলে আপনার কাশি অনেক দ্রুত দূর হয়ে যাবে। তবে আপনার ডায়াবেটিস থাকলে মধু বেশি না খাওয়াই ভালো আর বাচ্চাদের বয়স ১ বছরের কম হলে মধু বেশি খাওয়াবেন না।
সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে
আপনার যদি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে কাশি দূর করতে অবশ্যই সেটি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে না পারলেও চেষ্টা করবেন কম খাওয়ার। সিগারেট আমাদের শরীরের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং গলায় কাশি সৃষ্টির পাশাপাশি শরীরে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগ বালাই হওয়ার যুকি বাড়িয়ে দেয়।
ধুলাবালিত ও ধোঁয়াতে কম যাওয়া
ধুলাবালির ও ধোঁয়ার কারণে অনেক সময় আমাদের কাশি হয়ে থাকে। তাই যতটুকু সম্ভব ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। বাসার বাহিরে গেলে ধুলাবালির ও ধোঁয়া নাক মুখ দিয়ে আমাদের শরীরে ঢুকে এতে কাশি সৃষ্টি ছাড়াও শরীরে রোগ বালাই বাসা বাদে। তাই বাহিরে গেলে মুখ মাক্স লাগিয়ে বাহিরে যাবেন।
এলার্জেটিক জিনিস থেকে দূরে থাকা
অনেক সময় এলার্জির কারণে কাশি দেখা যায়। আপনার এলার্জি থাকলে এলার্জেটিক জিনিস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। এলার্জেটিক জিনিসের জন্য আপনার কাশি হওয়ার সাথে সাথে এলার্জিও দেখা দিবে। এতে আরও বিরক্ত পরিস্থিতির মধ্যে পরে যাবেন। তাই এলার্জেটিক জিনিস থেকে দূরে থাকবেন।
আপনার কাশি দূর করতে এই ঘরোয়া উপায় গুলো খুব দ্রুত কাজ করবে। কাশি জন্য বিরক্ত হয়ে গেলে এই কাজ গুলো করে দেখতে পারেন। এই সকল উপায়ে আপনি আপনার অতিরিক্ত কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন