সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ দিনে দিনে পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা ও হারিয়ে যাচ্ছে ।মুখের রূপচর্চা আসলে সবাই করে থাকে তাদের নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। সুন্দর মুখ প্রতিটি মানুষের আত্মবিশ্বাসের মূল ভিত্তি এটা অনেকেই বিশ্বাস করে। সুন্দর দাগহীন উজ্জ্বল ফর্সা ত্বক এটা সবাই পছন্দ করে।পৃথিবীতে মানুষের ত্বকের বিভিন্নতা বা ভাগ রয়েছে। সে অনুযায়ী সবাই মুখের রূপচর্চা করে থাকেন।
মুখের রূপচর্চা কি?
মুখের পরিষ্কার সুন্দর ত্বক কে না চায়। এজন্য প্রতিটা মানুষই নানা রকম ভাবে রূপচর্চা করে থাকে। কেউ প্রাকৃতিক উপায়ে করে, আবার কেউ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে করে। মুখের রূপচর্চা চর্চা বলতে সাধারণত মুখের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়াকে বোঝায়। সবাই কিন্তু চায় তার ত্বক যেন উজ্জ্বল পরিষ্কার চকচকে দেখাক। কিন্তু সুন্দর ত্বকের সংজ্ঞা এক একজনের কাছে একেক রকম।
সুন্দর মুখের আসল সংজ্ঞা হলো যে মুখে কোন ব্রণ থাকবে না, যে মুখে কোন মেছতা থাকবে না, কোন ফুসকুড়ি থাকবে না, কোন গুড়া চামড়া উঠবে না, আবার কোন রেস জাতীয় সমস্যা থাকবে না, যে ত্বকে বয়সের সঙ্গে ভাজ পড়বে না অতিরিক্ত। এটাই আদর্শ সুন্দর ত্বক।
কিন্তু অনেকে ভাবেন এসব সত্য না থাকলেও চলবে শুধুমাত্র ফর্সা হলেই মনে হয় সুন্দর বেশি। আর শুধু ফর্সা হওয়ার জন্য অবৈজ্ঞানিকভাবে নানা ধরনের ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করে অনেকেই। যা আমাদের সুন্দর ত্বককে বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়।
মুখের রূপচর্চা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কীভাবে মুখের রূপচর্চা করতে হয়?
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সারাদিনের ব্যস্ততা শুরু হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজন মুখের রূপচর্চার। মুখের রূপচর্চার কোন বিকল্প নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে অনেক ত্বক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন খালি পেটে পানি খাওয়ার এটাই আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটিও মুখের রূপচর্চার একটি অংশ।
এছাড়া সারারাত ঘুমানোর পর ত্বক থেকে এক ধরনের তেল মিশ্রিত হয়। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের পুরো চেহারা যার প্রভাব ফেলে। শুষ্ক ত্বকে নাকের পাশে বা নির্দিষ্ট কোন স্থান তৈলাক্ত হয়ে থাকে। যা শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে এ জমে থাকা তেল ঠিকঠাক ভাবে পরিষ্কার হবে না।
তৈরি হয় ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা। তাই ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ফেসওয়াস বা মধু নিম পাতা মুলতানি মাটি বা ঘরে তৈরি কোন ফেসপ্যাক যা আমাদের মুখে দিবে বাড়তি উজ্জ্বলতা তা দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা চাইলে দুধ দিয়েও মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারে।
মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর যদি কোথাও বাইরের কাজে বা রান্না করতে যাই তাহলে অবশ্যই আমাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এরপর সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই আরেকবার মুখের রূপচর্চা করতে হবে এটা আপনি প্রাকৃতিক উপায়েও করতে পারেন আবার বৈজ্ঞানিক উপায়ও করতে পারেন। মুখ ভালোভাবে ধুয়ে আমরা যে ক্রিম সাধারণত ব্যবহার করে থাকি তা মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে হবে।
মুখের রূপচর্চার জন্য হোমরেমিডি কি?
প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া সেই সাথে শুরু হয়েছে ত্বকের বাড়তি সমস্যা ত্বক হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ, শুষ্ক, মলিন এ সময় তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলেও শুষ্ক ত্বকের জন্য শীত যেন এক দুঃস্বপ্ন। তাই শীতের সময় বাড়তি যত্ন নিতে হয় ত্বকের। এই সময়টাতে ক্লিনজিং স্ক্রাবিং এবং ময়েশ্চারাইজিং করতে হয়। অনেকেই আছেন যারা বাইরের প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চান না মুখের রূপচর্চায়।
যদি ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায় পার্লারে যাওয়ার বিষয়টাকে এড়িয়ে চলেন। এক্ষেত্রে আপনি বাইরের হতাশা বলে ঘরেই করতে পারেন রূপচর্চা। সব ঋতুতে ক্লিনজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। শীতের সময় দুই থেকে তিনবার ক্লিনজার ব্যবহার করুন এক্ষেত্রে কাঁচা দুধ হতে পারে সবচেয়ে ভালো উপাদান। ঠান্ডা দুধে কটন বা তুলো ভিজিয়ে মুখ ধুয়ে অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করতে পারেন।
স্ক্রাবিং এর জন্য চালের গুড়া সাথে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। চালের গুরুর সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিন ভালোভাবে এরপর দুই মিনিট ধরে মুখে হালকা মেসেজ করুন এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে তলা দিয়ে মুখ মুছে নিন। তবে মনে রাখবেন শীতকালে বেশি স্ক্রআব ব্যবহার করা উচিত নয়। সপ্তাহে রুটিন করে দুই অথবা তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।
মুখে অসময়ে বয়সের ছাপ দেখা গেলে বা মুখের ত্বক টানটান রাখতে তা সাহায্য করবে টোনার। একটি গ্রিন টি প্যাক ১ থেকে ২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট এরপর পানি ছেঁকে নিন। রোজ সকালে কটন প্যাক দিয়ে ব্যবহার করুন।
এটি আপনার ত্বককে সারা দিনের জন্য কোমল ও সতেজ রাখবে। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে বাটার মিল্ক প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মালাই ব্যবসায় বাটার মিল্ক এর সাথে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
সব ধরনের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকা উষ্ণ আমান অয়েল অথবা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এছাড়া আপনার সাধারণ ক্রিম এর সাথে আমানওয়েল অথবা অলিভ অয়েল ভালোকরে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপনার মুখের রূপচর্চায়।
কিভাবে সুস্থ মুখের রূপচর্চা করতে হয়?
মুখের রূপচর্চা শুরু করার আগে কি কি বিবেচনা করতে হবে?
কোন ধরনের মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করা উচিত?
কিভাবে মুখের রূপচর্চা সহজে করতে হবে?
মুখকে সৌন্দর্য বান্ধব করতে প্রয়োজনীয় কয়েকটি পদ্ধতি কি?
- মুখকে সৌন্দর্য বান্ধব করতে আমরা প্রথমে বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রসাধনী বাদ দিয়ে দিব যা আমাদের ত্বকের ভয়ংকর ক্ষতি করে।
- দ্বিতীয়ত প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে আমরা মুখের রূপচর্চা করতে পারি যা মুখে সৌন্দর্য বান্ধব করতে সাহায্য করে অনেকাংশে।
- তৃতীয়ত আমরা বাইরে বেরোনোর পূর্বে অবশ্যই সানস্ক্রিম অথবা মুখে মাক্স স্কাপ ক্যাপ ব্যবহার করেও মুখে সৌন্দর্য বান্ধব করে তুলতে পারি।
- চতুর্থ মুখের কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে আমরা অবশ্যই একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিব যা আমাদের মুখে সৌন্দর্য বান্ধব রাখতে সাহায্য করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন