প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো ব্রয়লার মুরগির কি এলার্জি আছে এই সম্পর্কে পোস্ট খুঁজতাছে কিন্তু পাচ্ছেন না চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই টপিক নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো জানবো ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ নিয়ে তাহলে চলুন দেরিনা করে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণ ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করা হচ্ছে। আমরা এই পোস্টে ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট ও ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে। পোস্টি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভূমিকা
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রায় ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করা হয়। আমাদের দেশে প্রায় সব শ্রেণীর লোকেরাই ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে খেতে পারে। ছাগল ও গরুর মাংসের দাম বেশি থাকার কারণে তারা এইসব মাংস খেয়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। যার ফলে ব্রয়লারের মাংস খেয়ে মানুষ তার আমিষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
করোনা কালীন সময়ে প্রায় অনেকেই বলেছে ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ফলে মানব দেহেতে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশে কিছু মন্ত্রী গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন যে ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ফলে মানব দেহে কোন প্রকার খারাপ এফেক্ট ফেলেনা।
তাই প্রতিটি মানুষের ব্রয়লার মুরগি খাওয়া প্রয়োজন। অনেকে জানার ইচ্ছে হয় যে ব্রয়লার মুরগির কি এলার্জি আছে ।এই সম্পর্কে আরো সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা
বাংলাদেশের আমিষের চাহিদা পূরণের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগি বিভিন্ন ফার্মে বেড়ে ওঠে। আমাদের দেশের প্রায় 90% মানুষ ব্রয়লার মুরগি খেয়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়। ব্রয়লার মুরগির দাম তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে সাধারণ ভোক্তারাও কিনে খেতে পারে। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বয়লারের দাম বৃদ্ধি করছে।
বয়লার মুরগির মাংস নরম ও সুস্বাদু। অনেকের মুখে শোনা গেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগিকে বিভিন্ন ক্ষতিকারকএন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকে যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন মন্ত্রীরা গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন। ব্রয়লার মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক এর পরিমাণ খুবই সামান্য যা আমাদের দেহের কোন প্রকার ক্ষতিসাধন করে না।
তাই প্রতিটি মানুষের নিঃসন্দেহে ব্রয়লার মুরগি গ্রহণ করতে পারে। ব্রয়লার মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। ব্রয়লারের মাংসে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায় যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার দৈহিক আমিষের চাহিদায় ব্রয়লার মুরগি ১০০ গ্রাম খাওয়ার ফলে 28 গ্রাম অংশ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়। তাই বলা যেতে পারে ব্রয়লার মুরগি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রতিটি মানুষ ব্রয়লার মুরগির মাংস নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চার্ট
আমাদের দেশে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা অনেক।ব্রয়লার মুরগির কম টাকার হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ম্যাধমে আমিষের চাহিদা পূরণ করে। বর্তমানে অনেকেই ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায় নিযুক্ত হয়েছে কিন্তু সঠিক দৈনিক খাবারের বিষয় না জানার কারণে বা বৃদ্ধির র্চাট না জানার কারণে অনেক সময় লসের শিকার হয়।
অন্য মাংসের তুলনায় বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির মাংসের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তাই এই ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন করে কিভাবে লাভ করা যায় সেই নিয়ে একটি দৈহিক বৃদ্ধির খাদ্য চার্ট তৈরি করা হলো ঃ
ব্রয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির ঔষধ
প্রতিটা ব্রয়লার মুরগি পালনকারী ব্যক্তি একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মুরগিগুলো বাজারে বিক্রি করে থাকে। অনেক সময় এ মুরগিদের ঠিকমতো বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে খামারিরা লোকসানের মুখে পড়ে। যার কারণে অনেক সময় এরা মুরগি পালন ছেড়ে দেয়। আজকে আমরা জানবো ব্রয়লার মুরগি বৃদ্ধির স্বাস্থ্যসম্মত কয়েকটি ওষুধের নাম যে ওষুধগুলো খাওয়ানোর ফলে বয়লার মুরগি বৃদ্ধি পাবে।
আমরা জানি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় আমিষের চাহিদা পূরণ করে ব্রয়লার মুরগি। অনেক ব্রয়লার মুরগির খামারি প্রথমবার ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে গিয়ে অনেক সময় লোকসানের মুখে পড়ে। এই লোকসান থেকে বাঁচার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় মুরগি অসুস্থ থাকার কারণে সঠিক ওজন বৃদ্ধিন পায় না।
ব্রয়লার মুরগি যদি পায়খানার কোন সমস্যা হয় তাহলে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো প্রয়োগ করার থেকে বিরত থাকবেন না হলে ব্রয়লার মুরগি আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।ব্রয়লার মুরগিকে নিম্ন ওষুধগুলো প্রয়োগ করার জন্য সুস্থ অবস্থায় প্রয়োগ করা শ্রেয়। সুস্থ অবস্থায় প্রয়োগ করলে ব্রয়লার মুরগির স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই ৩০ দিন পর যদি মুরগির ওজন চাহিদা তুলনায় কম হয় তাহলে নিম্নলিখিত কিছু ওষুধ কিনা খাওয়ালে মুরগি সঠিক গ্রোথ ফিরে পাওয়া যায়।
- ইয়াম ভেট
- এমাইনোভেট প্লাস
- বুস্টার জিপ্রমীন
- ভাইটাল এমাইনো
ব্রয়লার মুরগির খাদ্য উপাদান
ব্রয়লার মুরগির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে খাদ্যনির্বাচন করতে হবে। ব্রয়লার মুরগির খাদ্য যেন পুষ্টিকর হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।ব্রয়লার মুরগির খাবারের জন্য কোন প্রকার ক্ষতিকারক পদার্থ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্রয়লার মুরগি উৎপাদের জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ব্রয়লার মুরগির খাদ্য নির্বাচন করা প্রয়োজন। সঠিক খাদ্য নির্বাচন না করার ফলে আমরা অনেক সময় লোকশানের সম্মুখীন হই।
যার ফলে হতাশ হয়ে ব্রয়লার মুরগী ব্যবসা থেকে বিরত থাকি। তাই ব্রয়লার মুরগি পালনের জন্য প্রথমে আমাদের সঠিক খাবার নির্বাচন করা দরকার। ব্রয়লার মুরগির প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। খাদ্যে যদি সঠিক পরিমাণে পুষ্টি থাকে তাহলে ব্রয়লার মুরগির ওজন সঠিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলে আমরা ব্রয়লার মুরগি পুষে লাভবান হতে পারব।
ব্রয়লার মুরগি খাদ্য গ্রহণ তালিকঃ
- প্রোটিন
- চাল
- গম
- সরিষা সয়াবিন মিল
- প্রিমিক্স লবণ
- ভুট্টা
- এল লাইসিন
- সয়াবিন তেল
- ডিসিপি
- কোলিন ক্লোরাইড
- টক্সিন বাইন্ডার
- এল লাইসিন
- লবণ
- রাইচ পালিশ
- ধান
- শুটকি মাছের গুড়া
- সয়াবিন তেল
- চালের মিহি গুরা
- খুদ
- কোলিন ক্লোরাইড
- সালমোনেলা কিলার
- লাইমস্টোন ঝিনুক চূর্ণ
ব্রয়লার মুরগির কি এলার্জি আছে
বাংলাদেশের বড় বড় খামারে ব্রয়লার মুরগি চাষ করা হয়। বাংলাদেশের আমিষের প্রায় ৭০% জোগাড় হয় ব্রয়লার মুরগির থেকে। ব্রয়লার মুরগির মাংস সব শ্রেণীর মানুষ খেতে পারে কারণ অন্য মাংসের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম তুলনামূলক কম। ব্রয়লার মুরগির মাংস সুস্বাদু ও নরম। ব্রয়লার মুরগিকে পালন করার জন্য কিছু ক্ষতিকারক ঔষধ খাওয়ানো হয়।
যার ফলে আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারি। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে ব্রয়লার মুরগি ভূমিকা রাখে। যারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ব্রয়লার মুরগির গোস্ত রাখে প্রায় তাদের মধ্যে প্রত্যেকটি মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগতে থাকে। তাই নিয়ম মেনে ব্রয়লার মুরগির খাওয়া উচিত।ব্রয়লার মুরগিকে অসাধু উপায়ে বড় করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়।
এন্টিবায়োটিক যুক্ত মুরগি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয় এসব মুরগি খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগ বাসা বাঁধে। ফুড পয়জনিং জন্য ব্রয়লার মুরগির মাংস দায়ী কারণ ব্রয়লার মুরগির মাংস তে ইকোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে।ব্রয়লার মুরগির মাংসতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়ার কারণে ক্যান্সারের মতো মহামারি রোগ আমাদের দেহের সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের জন্য কৃত্রিম উপায়ে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করছে যার ফলে আমাদের প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।বর্তমানে এক গবেষণায় বলা হয়েছে ব্রয়লার মুরগিকে সঠিক উপায়ে লালন পালন করা হয় যার ফলে কোন রোগ সৃষ্টি হয় না মানব দেহে ।কিন্তু অনেকে জানতে চান ব্রয়লার মুরগির কি এলার্জি আছে এটি খেলে এলার্জির প্রবলেম হয়।
এটি খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি প্রবলেম দেখা দেয় আবার অনেকের দেখা দেয় না। এলার্জির প্রবলেম আছে নাকি বুঝতে হলে খেয়ে দেখতে হবে। খাওয়ার ফলে যদি এলার্জি প্রবলেম হয় তাহলে পরবর্তী সময় সামান্য পরিমাণ ব্রয়লার মুরগির মাংস খাবেন। আর যদি কোনো প্রবলেম না থাকে তাহলে আপনি সঠিক পরিমানে খাবেন।
অবশেষে বলা যায়
ব্রয়লার মুরগি আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণে সক্ষম।প্রতিটি মানুষের ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া দরকার। ব্রয়লার মুরগির মাংস কোন ক্ষতিকারক পথ নেই তাই ব্রয়লার মুরগি মাংস প্রতিটি মানুষের দেহের জন্য উপকারী।
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের ব্রয়লার মুরগির কি এলার্জি আছে নিয়ে লেখা পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন