প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম জানতে চাচ্ছেন। আজকে আমরা আপনাদের জন্য চোখের কিছু ড্রপ নিয়ে এসছি। এ পোস্টে আমরা চোখের এলার্জিচির দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব।তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্ট মনোযোগ সহকারে আলোচনা করা যাক।
প্রায় প্রতিটি মানুষেই চোখের এলার্জি প্রবলেমে ভুগতে থাকে। আমরা এই পোস্টে চোখে এলার্জির ওষুধের নাম আর চোখে এলার্জির লক্ষণ সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া যাক।
ভূমিকা
বর্তমানে বাংলাদেশে চোখে এলার্জি প্রবলেম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকছে। চোখ মানব দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোখকে সুস্থ রাখা আমাদের দায়িত্ব। প্রতিদিন চোখকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। নয়তো বাইরে থাকা জীবাণু ময়লা চোখের ভিতরে প্রবেশ করে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এলার্জি প্রবলেম হলে অনেক সময় চুলকাতে চুলকাতে চোখ লাল বর্ণ ধারণ করে।
এলার্জি প্রবলেমকে ভালো ভালো করতে ডক্টরের কাছে সঠিক চিকিৎসা মাধ্যমে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। এই পোস্টে চোখের এলার্জি লক্ষণ,চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম,চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম ও হঠাৎ চোখ লাল হওয়ার কারন নিয়ে আমাদের পোষ্টের মধ্যে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ জানতে হলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়া অনুরোধ রইলো।
চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চোখ মানব দেহের একটি বিশেষ অঙ্গ। চোখে বিভিন্ন ধুলা-বালি ময়লা পড়ে চোখে এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি হয়ে থাকে। ধুলা বালিতে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু যুক্ত থাকে।সেই জীবানু যুক্ত ধুলা-বালির চোখের ভিতর পড়লে চোখে এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি হয়। চোখে চুলকানোর বা অতিরিক্ত ডলাডলি করলে চোখের বিভিন্ন সৃষ্টি হয়।
তাই এলার্জি প্রবলেম হলে চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার যাওয়া উচিত। তাৎক্ষণিক চোখে এলার্জি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায়ে চোখের এলার্জি ভালো করা দরকার। আজকে এই পোস্টের এই অংশে চোখে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানব।
ঠান্ডা পানিঃ বর্তমানে অনেকেরই চোখে এলার্জি প্রবলেম হয়ে থাকে। চোখে এলার্জি প্রবলেম হলে ঠান্ডা পানি ঝাপটা দেওয়া প্রয়োজন। এভাবে ঠান্ডা পানি দিলে চোখের চুলকানি ভালো হয়।
শসাঃ শসা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের চুলকানি বা জ্বালা কমাতে শসায় থাকা অ্যান্টিইরিটেশন প্রোপারর্টিজ সাহায্য করে। তাই চোখে এলার্জির প্রবলেম হলে শসা খাওয়া প্রয়োজন।
গোলাপজলঃ বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষের চোখে এলার্জি প্রবলেম হয়ে থাকে। এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়ে মধ্যে গোলাপজল দিয়ে চোখে এলার্জি ভালো করা অন্যতম। তাৎক্ষণিক চোখের জালা দূর করতে, চোখের চুলকানি দূর করতে ও চোখে ঠান্ডা করতে গোলাপজল ব্যবহার করা উচিত। গোলাপ জল ব্যবহার করা ফলের দ্রুত চোখের বিভিন্ন প্রবলেম থেকে আরাম পাওয়া যায়।
লবণ পানিঃ লবণ পানি দিয়ে বাড়িতেই আপনি সহজ উপায়ে চোখের চুলকানো ভাব কমাতে পারেন। লবণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উৎপাদন আছে যা চোখের যাবতীয় ক্ষতিকারক জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। লবণ পানিকে মিস করে চোখ ধুয়ে ফেললে চোখের বিভিন্ন চুলকানি থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব।
চশমা পরিধান করাঃ চোখে যদি এলার্জির প্রবলেম প্রায় হয়ে থাকে। তাহলে বাসার বাইরে বের হলে চশমা পরা আবশ্যক। বাইরে ধুলাবালির থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুর চোখের ভেতর প্রবেশ করে বিভিন্ন চুলকানি সৃষ্টি করে। তাই এই সকল প্রবলেম থেকে চোখকে ভালো রাখতে চশমা পরিধান করা উচিত।
আলুঃ আলু চোখে এলার্জি দূর করতে বেশ কার্যকর। আলুতে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট চোখে চুলকানি ভাব, চোখকে লাল হয়ে যাওয়া দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে। তাই প্রথমে আলুকে ভালো করে ছিলে ফ্রিজের মধ্যে রেখে কিছুক্ষণ পর বের করে। সেটির চোখের পাতার উপরে রেখে দিয়ে কিছুক্ষণ পরে তুলে নিলে এভাবে দিনে দু-তিনবার দিলেই চোখে চুলকানি ভাব ভালো হয়ে যায়।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি যেমন ওজন কমাতে পারে তেমনই চোখের প্রবলেম দূর করতে বেশ কার্যকর। গ্রিন টি বানিয়ে তা ঠান্ডা করে চোখ পরিষ্কার করলে এলার্জির প্রবলেম দ্রুত ভালো হয়ে যায়। তাই সকলের চেষ্টা করবেন এলার্জির প্রবলেম হলে গ্রিন টি দিয়ে চোখ ধোয়ার।
আমলকি ও মধুঃ আমলকি ও মধু চোখে এলার্জি প্রবলেম দূর করতে বেশ কার্যকর।আমলকি গুড়া করে মধুর সাথে প্রতিদিন রাতের বেলায় যদি খাওয়া হয়। তাহলে কিছুদিনের মধ্যে এলার্জি প্রবলেম থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পরিছন্নতাঃ ধুলা-বালি চোখের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার কারণে চোখে এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি হয়। ধুলা-বালিতে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে সে জীবাণু চোখের ভিতরে প্রবেশ করে এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি করে। এলার্জি প্রবলেম থেকে মুক্তি পেতে সব সময় চোখকে পরিষ্কার রাখা উচিত।
হলুদঃ চোখে এলার্জি প্রবলেম দূর করার জন্য হলুদ দেশ কার্যকর। হলুদের রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল।হলুদ ব্যবহার করার ফলে চোখের প্রবলেম থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক কাপ পানিতে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে যদি চোখ পরিষ্কার করা হয় তাহলে চোখে এলার্জি প্রবলেম ভালো হয়।
চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম
প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম জানতে চাই।বর্তমানে প্রায় সবারই চোখের এলার্জির প্রবলেম দেখা দেয়। চোখ মানব দেহের একটি সেনসিটিভ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। অনেক সময় বাইরের ধুলা-বালি চোখে প্রবেশ করার মাধ্যমে চোখের এলার্জির প্রবলেম সৃষ্টি হয় ও চোখ লাল হয়ে যায়।
চোখে এলার্জির চোখ ভালো করার জন্য কিছু ড্রপ ব্যবহার করা হয়। সেই ড্রপের নাম আমাদের নিচে দেওয়া থাকবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ ব্যবহার করা ঠিক নয় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করলে এলার্জি প্রবলেম থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এলার্জি ড্রপের নাম
- বেপোটাস্টাইন
- ওলাপাটাডিন
- কেটোরোলাক
- সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট
চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম
চোখের প্রবলেম দূর করার জন্য ড্রপের পাশাপাশি ট্যাবলেট গ্রহণ করা যায়। এলার্জির ট্যাবলেট খেলেও দ্রুত চোখে এলার্জি প্রবলেম ভালো হয়ে যায়। ধুলি বালি চোখে প্রবেশ করার মাধ্যমে চোখে এলার্জি প্রবলেম হয়ে থাকে। আজকে আমরা এলার্জি প্রবলেম এর হলে কোন কোন ট্যাবলেট খেলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে জানব। তবে ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করার পর ওষুধ খাওয়া উচিত।
চোখেরএলার্জি ট্যাবলেটের নাম
- রুপাডিন
- লাইফ্লক্স ট্যাবলেট
- এবাটিন
- ডেসলোরাটাডিন
চোখের এলার্জি লক্ষণ
চোখ দেহের একটি মূল্যবান সম্পদ। চোখ না থাকলে পৃথিবীর এত সুন্দর দৃশ্য হয়তো দেখা সম্ভব হতো না।তাই চোখকে সুস্থ রাখতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। বর্তমানে প্রায় ১০০ জনের মধ্যে ১০ জনই চোখের প্রবলেম হয়ে থাকে। ধুলা-বালি থাকা জীবানু হাওয়ার সাথে উড়ে চোখে প্রবেশ করার মাধ্যমে এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এলার্জির প্রবলেম বর্তমানে ব্যাপক হারিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এলার্জি প্রবলেম থেকে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পাবার জন্য আমরা গোলাপজল ব্যবহার করতে পারি আবার লবণ পানি, আলু শসা ব্যবহারের ঘরোয়া মাধ্যমে আমরা অ্যালার্জি প্রবলেম ভালো করা সম্ভব। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
না হলে দিন দিন চোখের প্রবলেম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। অনেক চোখের এলার্জি লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। আমরা এই পোষ্টের এই অংশে এলার্জি লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানাবো। এলার্জি প্রবলেম হলে নিচে দেওয়া লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।
- চোখ অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকায়।
- চোখের ভিতরে খচ খচ করে।
- চোখ চুলকাতে চুলকাতে চোখ দিয়ে জল বের হয়ে যায়।
- চোখ ফুলে যায়।
- চোখ অতিরিক্ত লাল বর্ণ ধারণ করে।
- চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
- চোখ জ্বালা করে।
চোখের এলার্জি কেন হয়
অনেকেই জানতে চাই চোখে এলার্জি কেন হয়। চোখে এলার্জি বহু কারণে হতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানার দূষিত ধোয়া বায়ুর সাথে মিশে গিয়ে বায়ুতে এক ধরনের জীবাণু সৃষ্টি করেছে। যা চোখের ভিতর প্রবেশ করে চোখে এলার্জির প্রবলেম সৃষ্টি হতে থাকে। আবার রাস্তায় পড়ে থাকা ধুলো-বালি খাওয়ার সাথে চোখে প্রবেশ করার কারণেও এলার্জি প্রবলেম হয়ে থাকে।
বাইরে যাওয়ার আগে সব সময় চশমা পরিধান করা উচিত। যাতে বাইরে ধুলাবালি চোখের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে ।চোখ মানবদেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা না থাকলে সুন্দর পৃথিবী দেখার সৌভাগ্য হত না। বর্তমানে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের মেকআপ ইউজ করে থাকে। এই মেকআপে ভেজাল কেমিক্যাল থাকার কারণে চোখের চুলকানি সৃষ্টি হয়ে থাকে।
চোখের প্রবলেম সৃষ্টি হলে চোখ জ্বালা করে, চোখ দিয়ে ঝরঝরিয়ে জল পড়তে থাকে, চোখ চুলকাতে চুলকাতে লাল বর্ণ ধারণ করে। তাই এগুলোতে থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবার জন্য আমরা ঘরোয়া উপায়ে গোলাপজল, লবণ পানি, আলু, শসা, ঠান্ডা পানি, গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারি। পরবর্তী সময়ে আমরা ডক্টরের নিকটবর্তী হয়ে সঠিকভাবে চোখ পরীক্ষা করে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।
হঠাৎ চোখ লাল হওয়ার কারণ
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন হঠাৎ করে চোখ লাল হওয়ার কারণ কি। চোখ লাল হওয়ার মূলত অনেক কারণ আছে অনেকেই হাঁপানি জনিত সমস্যায় ভুগে। হঠাৎ করে যদি হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে চোখ লাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আবার ধুলা-বালি চোখের ভিতরে প্রবেশ ফলে চোখ ডলাডলি ও আঘাত পাওয়ার কারণে আবার চোখ লাল হয়ে যায়।
অনেকেই চোখের চশমা ব্যবহার করে চশমার পাওয়ার ঠিক না থাকলে চোখ লাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। একটানা মোবাইল ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ লাল হয়ে যায়। সাধারণত মেয়েরা মেকআপ করে থাকে এই মেকআপে বিভিন্ন ভেজাল কেমিক্যাল থাকার কারণে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়। বিভিন্ন কলকারখানার দূষিত ধোয়া চোখে লাগার কারণে চোখ লাল হয়ে যায়।
তাই চোখ যদি লাল হয়ে যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে ল্যাপটপ বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না সঠিক পাওয়ারের চশমা পরিধান করতে হবে। যেসব খাদ্যে এলার্জি আছে সেসব খাদ্য পরিত্যাগ করতে হবে। তাহলে উপরে নিয়ম গুলো মেনে চললে চোখ লাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
অবশেষে বলা যায়
মানব দেহের জন্য চোখ গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তার চোখের গুরুত্ব প্রতিটি মানুষের কাছে অপরিসীম। তাই চোখে ভালো রাখতে নিয়মিত চোখের যত্ন নিতে হবে। কসমেটিক জাতীয় জিনিস ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল বা ল্যাপটপ চালানো যাবে না। তাহলে চোখের এলার্জি প্রবলেম থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই পোস্টে চোখের এলার্জি লক্ষণ,চোখের এলার্জি ঔষধ এর নাম,চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম ও হঠাৎ চোখ লাল হওয়ার কারন নিয়ে আমাদের পোষ্টের মধ্যে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। বন্ধুরা আমাদের চোখের এলার্জির ড্রপ এর নাম পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন