জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেই জিভে ঘা হয়ে থাকে। কিন্তু কোন ভিটামিনের অভাবে হয় সেটা সম্পর্কে হইত অনেকেই ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি এই আর্টিকেলে সঠিকভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে বাচ্চাদের জিভে ঘা এর ঔষধ, মুখের ঘা এর জেল নাম, জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম, জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে, জিহ্বায় ঘা এর হোমিও ঔষধ এর নাম, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
আমাদের দেশে নারী-পুরুষ উভয়ের জিভে ঘা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ছোট শিশুদের জিভে ঘা অনেক বেশি হয়ে থাকে তবে। কিন্তু এই জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এর পাশাপাশি জিহ্বায় ঘা এর ওষুধের নাম সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করব।
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এবং জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
জিহ্বায় ঘা এর হোমিও ঔষধ এর নাম
অনেক সময় দেখা যায় জিহ্বায় ঘা হওয়ার কারণে অনেক রকমের ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু কিছু হোমিও ওষুধ রয়েছে যেটি আপনি সেবন করলে খুব দ্রুত জিভের ঘা, জিভের রক্তপাত, ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জিহ্বায় ঘা এর হোমিও ঔষধ এর নাম জেনে নিন।
জিহ্বার ঘায়ের কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধঃ
- এছাড়াও যদি আপনার জিহ্বার ডগায় আঁচিল হয়ে থাকে তাহলে থুজা (Thuja) এই ওষুধটি খেতে পারেন।
- যদি আপনার জিভের দুইধারে ঘা হয়ে থাকে তাহলে Merc.sol এই ঔষধ সেবন করতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে আপনার জিভের দুইধারের ঘা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- আপনার যদি জিহ্বার উপরাংশ অর্থাৎ উপর ভাগ ফাটা ফাটা বা ক্ষত-বিক্ষত হয় তাহলে অ্যাসিড নাইট্রিক (Acid Nitric) এই ওষুধ খেতে পারেন।
- যদি আপনার রক্তপাত যুক্ত ঘা হয়ে থাকে, তাহলে ল্যাচেসিস (Lachesis) এই ওষুধ খেতে পারেন।
- যদি জিহ্বার একপার্শ্বে ঘা হয় তাহলে অ্যাসিড নাইট্রিক (Acid Nitric) এই ওষুধ খেতে পারেন। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে জিহ্বার একপার্শ্বে ঘা দূর হয়ে যাবে।
- যদি আপনার জিহ্বায় কালো কালো দাগ হয় তাহলে এসিড.মুর (Acid.mur) এই ওষুধ খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে আপনার জিহ্বার কালো দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে।
- জিহ্বার মাঝখানে যদি আপনার ঘা হয়ে থাকে তাহলে অ্যাসিড নাইট্রিক (Acid Nitric) এই ওষুধ খেতে পারেন।
- যদি আপনার জিহ্বার ভিতরে অর্থাৎ একেবারে গোড়ায় ঘা হয়ে থাকে তাহলে ফাইটোলাক্কা (phytolacca) এই ওষুধ খেতে পারেন।
জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে
যদি আপনার জিভে ঘা হয়। তাহলে যত দ্রুত সম্ভব দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনি যদি এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত রেখে দেন তাহলে আপনার জিভে ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। এছাড়াও সেই ঘা থেকে আরও অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেলে জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনি এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি করে জেনে নিন।
- যাদের জিভে ঘা হয় তারা ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে পারেন। এতে করে আপনার জিভে ঘা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
- যদি আপনার জীবের ঘা দূর করতে চান তাহলে ভাজা খাবার এবং মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- জিভে ঘা ভালো করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
- বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে আপনার জিভের ঘা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও যদি আপনি জিভে দিনে দুইবার পরিষ্কার করতে পারেন তাহলে খুব ভালো থাকবে।
- যদি আপনার জিভে ঘা হয়ে থাকে তাহলে অ্যালোভেরার জেল জিভেতে মোটা করে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে ভালো ফলাফল পাবেন।
- জিভের ঘা দূর করার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকরী। নারকেল তেল আঙ্গুল দিয়ে যতটুক পর্যন্ত ঘা হয়েছে ততটুকু পর্যন্ত খুব ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে ভালো ফল মিলবে।
- যদি আপনি লবণ পানি হালকা কুসুম গরম করে কুলিকুচি করতে পারেন। তাহলে আপনার মুখের ঘা দূর হয়ে যাবে।
- মুখের ঘা হলে মধু খেতে পারেন, এটি খুবই উপকারী। যদি আপনি মধু খেতে পারেন তাহলে মুখের ঘা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
বিশেষ করে জিভের ঘা দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে মুখ পরিষ্কার রাখা। নিয়মিত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন এতে করে আপনার জিভের ঘা দূর হয়ে যাবে। যদি আপনার জিভের ঘা ১৫ দিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ আপনার ১৫ দিনের বেশি হয়ে থাকলে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আশা করি জিভে ঘা হলে কি খেলে ভালো হবে সেটা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
অনেক সময় দেখা যায় জিভে ঘা হয়ে থাকে। তবে জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এইটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়টি নিয়ে সঠিক একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। যদি আপনার এই বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
অনেক সময় দেখা যায় জিভে ঘা হওয়ার কারণে খাওয়া-দাওয়া একদম বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে এই জিভে ঘা হয়ে থাকে। জিভে ঘা হওয়ার কারণে অস্বস্তিকর লাগে। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে এই জিভে ঘা হওয়ার কারণ কি? কারণ হচ্ছে আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হয়ে থাকে তাহলে আপনার জিভে ঘা হবে।
এছাড়াও আপনার ঘা হওয়ার পাশাপাশি জিভে অনেক ফুলে যেতে পারে। তাই জিভে ঘা হওয়ার কারণে আপনার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এটি দূর করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।
জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম
অনেক মানুষের জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। কিছু কিছু মানুষ যারা জিহ্বায় ঘা হওয়ার কারণে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকেন। তবে আজকে আমি কয়েকটি ওষুধের নাম এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। যদি আপনি এই ওষুধগুলো খেতে পারেন তাহলে আপনার জিহ্বার ঘা দূর হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে জেনে নিন।
মুখের ঘা এর জেল নাম
অনেক সময় দেখা যায় মুখের ঘা ও ক্ষত হলে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু এটি দূর করতে হলে আপনাকে একটি জেল ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে মুখের ঘা নিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে থাকেন। তাই এই চিন্তা দূর করার জন্য আজকে আমি আর্টিকেলে মুখের ঘা এর জেল নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে সমস্ত বিষয়গুলো খুব ভালো হবে জানতে ও বুঝতে পারবেন।
ছোট শিশুদের অর্থাৎ ৬ থেকে ২৪ মাসের শিশুদের মিকোনেল জেল (Miconel Gel) (১.৫ মিলি) ১ ভাগের ৪ ভাগ চামচ জেল, দিনে ৪ বার ব্যবহার করতে হবে। তবে এটি ব্যবহার করার আগে খাবার খেয়ে নিবেন।
২ বছর বয়সী শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের ১ ভাগের ২ ভাগ চামচ জেল ব্যবহার করতে হবে। এটি দিনে চারবার ব্যবহার করতে হবে। তবে খাবারের পর ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
এটি ব্যবহার করার নিয়ম হচ্ছে মুখের যে অংশে ঘা হয়েছে সেই অংশে মিকোনেল জেল (Miconel Gel) পরিষ্কার আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিবেন। এটি দিনে ২ থেকে ৪ বার ক্ষতস্থানে লাগাবেন।
বাচ্চাদের জিভে ঘা এর ঔষধ
অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুদের মুখে এবং জিহ্বায় এক ধরনের ঘা হয়ে থাকে। সেটি দেখা যায় সাধারণ সাদা রঙ্গের। তবে এটাকে বলা হয় ওরাল থ্রাশ অর্থাৎ দুধ ঘা। এই ঘা মূলত এক ধরনের ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে। ছোট থেকে বয়স্করাও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে এক বছর কম বয়সী শিশুদের এই সমস্যাটা অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে এটি ভালো করতে কয়েকটি ওষুধ রয়েছে এই ওষুধগুলো সেবন করার ফলে বাচ্চাদের জিহ্বার ঘা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নিন বাচ্চাদের জিভে ঘা এর ঔষধ সম্পর্কে।
উপরে যে ওষুধ গুলোর নাম দেয়া হয়েছে সেগুলো বাচ্চাদের জিভে ঘা এর ওষুধ। এই ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যায় ডাক্তার যেগুলো ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিবে সেগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি জিভে ঘা কোন ভিটামিনের অভাবে হয় এবং জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন