শীতের আমেজ মানেই যেন খেজুরের রসের আগমন। সারা বছর অপেক্ষা করেন অনেকেই শীতকালে
খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি কি জানেন খেজুরের রসের অপকারিতা কি। আমাদের
শরীরের জন্য এটি কতটা ক্ষতিকারক। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে খেজুরের রসের
অপকারিতা জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।
এই আর্টিকেলে আমি খেজুরের রসের অপকারিতা ও
নিপা ভাইরাস খেজুরের রস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পরে খেজুরের রসের অপকারিতা ঠিক কতটুকু সে সম্পর্কে আপনারা
জানতে পারবেন।
খেজুরের রস
খেজুরের রস এটি শীতকালে সকলেরই অনেক বেশি পছন্দ। সারা বছর ধরে অনেকেই অপেক্ষা করে
থাকে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য। শীতের আমেজ আর সাথে খেজুরের রস অতুলনীয় একটা
ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শীতকালে গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা এবং খেজুরের রস প্রায়
প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেখা যায়।
আমরা সকলেই জানি খেজুরের রস কোথায় পাওয়া যায়। খেজুরের রস খেজুরের গাছ থেকে
সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। খেজুরের রস খেজুরের গাছ থেকে মাটির পাত্রে সংগ্রহ করা হয়
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে মাটির পাত্রের বিপরীতে
প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রস সংগ্রহ করা হয় বিশেষ
পদ্ধতিতে।
খেজুরের রস সংগ্রহ করার পর তা থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়ে থাকে। তার
পাশাপাশি খেজুরের রস এমনিতেই খেতে অনেকে পছন্দ করে। শীতকালীন পিঠা মানেই মনে পড়ে
প্রথমে খেজুরের গুড় এর কথা যা খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা হয়। খেজুরের রস পান
করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার হয়ে থাকে। কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক
চিনি।
কিন্তু এখন বিভিন্ন কারণে যেমন নিপাহ ভাইরাস এর কারণে খেজুরের রস আমাদের শরীরের
জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে। এই ভাইরাস এর প্রকোপ আমাদের দেশে এতটা ছড়িয়ে পড়েছে যে
চিকিৎসক গণ খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কিভাবে সংগ্রহ করেঃ খেজুরের রস সব ধরনের খেজুরের গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়
না। বিশেষ করে যে সকল গাছের বয়স অল্প সেই সকল গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা
যায় না। খেজুরের রস সংগ্রহ করতে গাছের বয়স কমপক্ষে চার বছর এর বেশি হতে হবে। আর
মহিলা খেজুরের গাছ থেকে বেশি পুরুষ খেজুরের গাছ থেকে বেশি রস সংগ্রহ করা হয়ে
থাকে।
গাছের মাথায় সাদা অংশ ভালোভাবে কেটে পরিষ্কার করা হয়। তারপর সেখানে মাটির পাত্র
ঝুলিয়ে রাখা হয়। খেজুরের গাছ এর ভেতর এক ধরনের লাইন করা হয় যে লাইন দিয়ে গাছ
থেকে মাটির পাত্রে খেজুরের রস পড়ে। এটি করা হয় সাধারণত দিনের শেষের দিকে।
সারারাত রস মাটির পাত্রে জমা হয় আর সকাল বেলা সেই পাত্র গাছ থেকে নামিয়ে নেয়া
হয়।
কাঁচা খেজুরের রস
খেজুরের রস অনেকের কাছেই পছন্দের। অনেকেই রয়েছেন যারা খেজুরের রস দিয়ে বিভিন্ন
রকম পিঠাপুরি তৈরি করে খেয়ে থাকেন। আবার কখনো এই রস দিয়ে তৈরি করা হয় গুড়। আর
সেই গুড় দিয়েও অনেকে পিঠাপুরি তৈরি করে থাকেন। গ্রামাঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়
খেজুরের রস কাঁচা অবস্থায় বিক্রি করে। অনেকেই সেগুলো খেয়ে থাকেন।
হয়তো আপনিও সেই মানুষগুলোর মতো এতদিন কাঁচা খেজুরের রস খেয়েছেন। যদি এমনটা হয়
তাহলে এখন থেকেই সাবধান হন এবং কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া হতে বিরত থাকুন। কারণ
কাঁচা খেজুরের রস আমাদের শরীরের জন্য যতটা উপকারী তার থেকেও বেশি অপকারি। বিশেষ
করে বিগত দুই তিন বছর থেকে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ
হয়ে পড়েছেন।
আমাদের দেশে কাঁচা খেজুরের রস দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছে নিপা ভাইরাস। খেজুরের রস
সারারাত খোলা অবস্থায় সংগ্রহ করা হয় আর তার ভেতরে বিভিন্ন রকম কীটপতঙ্গ ও বাদুর
সেই রসে মুখ দিয়ে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন রকমের ভাইরাস সেই রস খাওয়ার ফলে
আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
খেজুরের রস খাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্বর, ও মাথাব্যথা সহ বিভিন্ন
সমস্যা। এছাড়াও অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় সাধারণ মানুষ খেজুরের রস খাওয়ার ফলে
অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু ও ঘটছে। তাই অবশ্যই কাঁচা
খেজুরের রস খাওয়া থেকে নিজে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত রাখুন।
শীতের সকালে খেজুরের রস
চারপাশে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে থাকে শীতকালে। ঘাসের মাথায় থাকে শিশির কণা। শীত যেন
আমাদের মাঝে এক নতুন সৌন্দর্য সাথে করে নিয়ে আসে। শীতের সকাল মানেই কনকনে ঠান্ডা
আর সেই ঠান্ডার সাথে খেজুরের রস ও ভাপা পিঠা। শীতের কথা মনে পড়লেই সকলের প্রথমেই
এই কথাগুলো মনে পরে। শীতকাল মানেই থাকতে হবে ভাপা পিঠা ও খেজুরের রস।
খেজুরের রস ছাড়া যেন শীতকালের কথা চিন্তা করা যায় না। প্রতিটি মানুষ শীতকালে
খেজুরের রসের আশায় বসে থাকে। শীত এবং খেজুরের রস একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে
জড়িত। বাংলা মাসের অগ্রহায়ণ মাসে শুরু হয় খেজুরের রস সংগ্রহ করা আর এই
কার্যক্রম চলে ফাল্গুন মাসের শেষ পর্যন্ত। শীত যত বেশি পড়ে গাছ থেকে তত বেশি
খেজুরের রস সংগ্রহ করা যায়।
খেজুরের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক
বেশি উপকারী। কিন্তু খেজুরের রস খোলা অবস্থায় সংগ্রহ করার জন্য এতে বিভিন্ন রকম
ক্ষতিকর ভাইরাস পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে। যদি খেজুরের রস
খোলা অবস্থায় সংগ্রহ না করে সঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয় তাহলে এটি আমাদের
শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
খেজুরের রস কোথায় পাওয়া যায়
খেজুরের রস খেজুরের গাছ হতে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। খেজুরের রস পুরো শীত জুড়ে
পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় পৌষ ও ফাল্গুন মাসে।
খেজুরের রস খেজুরের গাছ হতে মাটির পাত্রে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। আর এই রস দিয়ে
তৈরি করা হয় গুড় ও লালি গুড়।
খেজুরের রস নিয়ে কিছু কথা
আমি আপনাদের সামনে খেজুরের রস নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করব। খেজুরের রস যে কোন
খেজুরের গাছে পাওয়া যায় না। খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য খেজুরের গাছের বয়স
হতে হয় চার বছরের বেশি। এছাড়াও মহিলা খেজুর গাছের চেয়ে পুরুষ খেজুর গাছে
খেজুরের রস বেশি পাওয়া যায়। খেজুরের রস ভালো মানের পেতে হলে অবশ্যই খেজুর গাছের
যত্ন নিতে হবে।
খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া জেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গাছ জন্মে। একসময়
যশোরের নামকরা ছিল খেজুরের রস। এক সময় খেজুর এর গুড়ের অনেক চাহিদা ছিল। সেই
সময় ধানি জমি সে রকম ছিল না শুধু ছিল বন জঙ্গল আর সেই সকল বন জঙ্গলে প্রচুর
পরিমাণে থাকতো খেজুর গাছ। সবচেয়ে নামকরা ছিল যশোরের খেজুরের গুড়।
স্বাদেও গন্ধে এর তুলনা ছিল অতুলনীয়। প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে জানা
যায় যে প্রাচীন যুগে খেজুরের রস থেকে তৈরি হত খেজুরের গুড় ও চিনি। যা ব্রাউন
সুগার নামে পরিচিত ছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১৮৯০ সালের সালের দিকে শুরু হয় আখ
থেকে চিনি উৎপাদন। সেই সময় অনেক কবি খেজুরের রস নিয়ে শত শত কবিতা লিখেছিলেন।
যেমনঃ
মোঃ মশিয়ার রহমান (মশি) বলেছেনঃ
শীত সকালে খেজুর রসটা
মজা ছিল ভারী,
ভাড়ে নিয়ে ঘুরতো কত
রসে ভরা হাড়ি।
অসিত কুমার রায় (রক্তিম) বলেছেনঃ
ঠান্ডায় কুয়াশার সকালে
কখনো খেজুরের রস খেয়েছো?
যদি খেতে তবে মনে হবে অমৃত খেলে।
ঠান্ডা শীতলতার একটা নদী তোমার শরীরে।
আবু জাফর বি বলেছেনঃ
যশোরের যশ খেজুরের রস
ঐতিহ রেখেছে ধরে,
কার্তিক মাসে খেজুর গাছ
তোলা চাঁছা করে।
যখন আখ থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হয় তখন আস্তে আস্তে খেজুরের রসের চাহিদা কমতে শুরু
করে। যে সকল কারখানা গুলোতে খেজুরের রস দিয়ে চিনি তৈরি করা হতো সেই সকল
কারখানাগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হতে শুরু করে। এখন আমাদের মাঝে খেজুরের রসের চিনি
নেই ঠিক কিন্তু খেজুরের রসের তৈরি গুড় এর ব্যাপকতা রয়েছে এখনো।
যেকোনো পিঠা করি তৈরি ক্ষেত্রে প্রথমেই সকলের মাথায় আসে খেজুরের গুড়ের কথা।
এখনো শীতকালে ঠিক সেই নিয়মেই খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। আর সেই রস সংগ্রহ করতে
প্রয়োজন হয় অনেক দক্ষতা। কারণ একজন দক্ষ ব্যক্তি জানেন খেজুরের গাছের কোন অংশ
কাটতে হবে এবং কোন অংশ কাটা যাবে না।
কাটার ফলে গাছ মারা যাবে। খেজুরের গাছের অংশ কাটার পরে সেই অংশ থেকে দুই থেকে তিন
দিন পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যেতে পারে। তারপর আবার নতুনভাবে খেজুরের গাছের অংশ
কাটতে হয়। একটি খেজুরের গাছের বয়স ৫ থেকে ৬ বছর হলে খেজুরের রস সংগ্রহ করা শুরু
করে এবং ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত রস সংগ্রহ করা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে দোঁআশ ও পলি মাটিতে যে সকল খেজুরের গাছ
রয়েছে সেই সকল খেজুরের গাছ থেকে খেজুরের রস বেশি সংগ্রহ করা যায়।
নিপাহ ভাইরাস খেজুরের রস
আগেকার সময়ে খেজুরের রস এই কথা শুনলেই সবার মনে খুশির আমেজ তৈরি হতো। কিন্তু
বিগত কয়েক বছর ধরে খেজুরের রস এই কথা শুনলেই সবার মনে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে খেজুরের রস এর দ্বারা নিপাহ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছে হাজার
হাজার মানুষ।
তার মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ ও করেছে। তাই এখন খেজুরের রস এর চাহিদা মানুষের মাঝে
অনেকটা কমে গেছে। খেজুরের রস খাবার কারণে মানুষ যেই নিপাহ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়
সেই নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে বাদুর এর লালা থেকে। খেজুরের রস যখন খোলা অবস্থায়
সংগ্রহ করা হয় তখন বাদুর সে রসে মুখ দেয় আর তার মুখের লালা রসের সাথে মিশে
যাই।
আর সেই রস খাওয়ার কারণে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই কখনোই
কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু আপনি খেজুরের রস জাল দিয়ে অথবা
খেজুরের রসের গুড় তৈরি করে খেতে পারেন। এই ভাইরাস ছোঁয়াচে তাই পরিবারের কোন
ব্যক্তি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিবারের বাকি সদস্যদের অনেক বেশি সচেতন থাকতে
হবে।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণঃ
- জ্বর
- খিচুনি
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ব্যথা
- শরীর ঝিমানো
- প্রলাপ বকা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
দ্রষ্টব্যঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন নিপাহ ভাইরাস এর কোনরকম ঔষধ
কিংবা টিকা নেই। এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এর চিকিৎসা অনুযায়ী। এ রোগে
আক্রান্ত ব্যক্তির ৭০% মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে।
খেজুরের রসের অপকারিতা
খেজুরের রসের উপকারিতা রয়েছে। এটি আমাদের শরীরে খনিজ সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও
রয়েছে বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে খেজুরের রসের
অপকারিতার কথা বললেই প্রথমে আসে নিপাহ ভাইরাস। এই ভাইরাস খেজুরের রসের মাধ্যমে
মানুষের শরীরে ছড়িয়ে থাকে। যা সাধারন মানুষের জন্য অনেক বেশি ভয়ংকর আকার ধারণ
করে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু ও ঘটতে পারে। যেহেতু এখন পর্যন্ত এই
ভাইরাসের জন্য কোন ঔষধ কিংবা টিকা আবিষ্কার করা হয়নি তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত
রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই নিজে কাঁচা খেজুরের রস
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং পরিবারের অন্যদের খেজুরের কাচা রস খাওয়া থেকে বিরত
রাখুন।
লেখকের মন্তব্য
আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনারা দ্যা বর্ষা
ওয়েবসাইট এর সাথে থাকবেন এবং নিয়মিত আমার লেখা আর্টিকেলগুলো পড়বেন। আমার
একমাত্র উদ্দেশ্য আপনাদের মাঝে প্রয়োজনীয় ও নতুন নতুন তথ্য পৌঁছে দেওয়া।
আশা করছি আমার লেখা আর্টিকেলগুলো পড়ে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে
পাবেন। এরকম প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমার লেখা আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ুন। আপনারা
যদি কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাকে বলতে পারেন আমি সেই বিষয় নিয়ে
আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন