পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

বন্ধুরা আপনারা হয়তো পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কোনো পোস্ট খুজতেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করব এবং আরো জানবো পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা। চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

এই আর্টিকেলে আমার আলোচনা করেছি পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম, পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় ও পেয়ারা কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে এবং কিছু ক্ষতিকারক দিক নিয়েও এ পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে সেটা জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পরার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা জানবো পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। লোকের সামর্থ্যের মধ্যে জনপ্রিয় ফল হলো পেয়ারা। আপেল, কমলার তুলনায় পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।যা মধ্যবিত্ত পরিবারও কিনে গ্রহণ করতে পারে। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ইত্যাদি।

এ পোস্টের মধ্যে আমরা আরো জানবো পেয়ারায় কি ভিটামিন আছে, পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম ,পেয়ারা পাতার খাওয়ার উপকারিতা, পেয়ারার বিচি খেলে কি হয়, রাতে পেয়ারা খেলে কি হয় ইত্যাদি। চলুন তাহলে দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশের জনপ্রিয় এইটি ফল হলো পেয়ারা। পেয়ারার পুষ্টিগুণের চুড়ি মেলা ভার।পেয়ারা বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায়। অনেকের সকালের ব্রেকফাস্টে পেয়ারা সালাত খেয়ে থাকে। আবার অনেকেই বিকেলে লবণ ,মরিচ, কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারা মাখা খেয়ে থাকে। পেয়ারা মাখা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। পেয়ারার জ্যাম, জেলি ,আচার খাওয়া যায়। অনেকেই বিকালে পেয়ারাকে কামড়িয়ে খেয়ে থাকে। কামড়ে খাওয়ার ফলে দাঁত ভালো থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকটি মানুষেরই পেয়ারা খাওয়া দরকার।

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিকর ফলের তালিকায় পেয়ারা অন্যতম। এই ফলটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়।এই ফলটি বড় ছোট দুই সাইজের হয়ে থাকে । অনেক পেয়ারা ফল সাদা হয়। আবার অনেকটা লালচে হয়। প্রতিটি মানুষেরই পেয়ারা খাওয়া দরকার। এই ফলটি আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন।সুস্থ জীবনের জন্য পেয়ারা ফলটি খাওয়া আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন।

পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহ, লাইকোপেন, প্রোটিন,ফাইবার, খনিজ পদার্থ। পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমান ভাবে দেখা যায়।পেয়ার ফলটি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বন্ধুরা চলুন তাহলে দেখা যাক পেয়ারা খাওয়ার ফলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ক্ষতস্থানঃ অনেক সময় কেটে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কারণ পেয়ারা থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষত সারতে অতুলনীয়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পেয়ারায় ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ভিটামিন এ থাকে।  আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেতে ভিটামিন এ কার্যকর ও অন্ধত্ব দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন চোখের প্রবলেম থেকে রেহাই পাব।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ পেয়ারায় থাকে ভিটামিন সি,ভিটামিন এ,  যা দেহ সচল রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারায় থাকে ভিটামিন সি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ প্রতিটি মানুষের প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগে। পেয়ারায় থাকে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হলেই পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন।

মাসিকের বিভিন্ন ব্যাথাঃ মাসিকের সময় প্রতিটি মহিলারে প্রায় ব্যথা হয়ে থাকে।এই ব্যথা নিরাময়ের জন্য পেয়ারা পাতার রস প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যারা অতিরিক্ত মোটা নিজের স্বাস্থ্যকে কমাতে চান। তাদের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা অত্যন্ত প্রয়োজন। পেয়ারা খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষের খাদ্য তালিকা পেয়ারা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

ত্বকের যত্নেঃ পেয়ারা থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক  জন্য খুবই কার্যকর। তাই ত্বকের বিভিন্ন প্রবলেম দূর করতে ও চুলকে লম্বা করার জন্য পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন।

আমাশয়ঃ পেয়ারা খাওয়ার ফলে আমাশয় সমস্যা সমাধান হয়। তাই আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন। পেয়ার আমার দেহ সচল রাখতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা জনিত সমস্যাঃ অনেকের অল্পতেই ঠান্ডা লাগে। এসব রোগীদের জন্য পেয়ারা খাওয়া কার্যকর। পেয়ারা খাওয়ার ফলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখেঃ পেয়ারা খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়।যা আমাদের হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ পেয়ারা খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।যার ফলে ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই প্রতিদিন ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ পেয়ারা খাওয়ার ফলে হজম জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।পেটের বিভিন্ন অসুখ দূর হয়। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা দরকার।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পেয়ারায় থাকে ভিটামিন সি যা আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কমলা, আপেলের তুলনায় পেয়ারায় বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকটি মানুষের পেয়ারা খাওয়া উচিত।

পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়

প্রায় প্রতিটি মানুষেরই প্রিয় একটি ফল পেয়ার।পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালে নাস্তা সময় একটি পেয়ারা খাওয়া উচিত ও বিকেলেও পেয়ারা খাওয়া উচিত। তবে রাতের বেলায় পেয়ারা কে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। রাতে পেয়ারা খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে আবার সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া ঠিক নয়।সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন একটা থেকে দুটো পেয়ারা খাওয়া উচিত। এভাবে পেয়ারা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পেয়ারা কি ভিটামিন

গুণে ভরা পেয়ারা ফলটিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ রয়েছে। কমলা, আপেলের তুলনায় পেয়ারা ফলে দ্বিগুন ভিটামিন পাওয়া যায়। পেয়ারাকে রোগ মুক্তির অস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। পেয়ারায় আরও থাকে ভিটামিন এ যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের কর্নিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে।তাই বলতে পারা যায় পেয়ার আমার দেহের জন্য খুবই উপকারী।তাই প্রতিটি মানুষের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের দেশে পেয়ার ও যেমন ওষুধ হিসেবে খাওয়া হয়। তেমনি পেয়ারার পাতাকেও ঔষধ হিসেবে খাওয়া হয়। পেয়ারার পাতা নির্যাস অনেক রোগের জন্য উপকারী।পেয়ার পাতার গুণ অতুলনীয়।অনেক সময় চোখের মধ্যে ধুলি বালি ঢুকে যায়। এর ফলে চোখে ভিতরে খচখচের সমস্যা থেকে বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পেয়ারা পাতার নির্যাস খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পেয়ারায় ভিটামিন এ থাকে যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তেমনি পেয়ারার পাতা চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর। মাসিকের ব্যথা উপশমের পেয়ারা পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যাদের মাসিকের সময় ব্যাথা সৃষ্টি হয়। তারা নিয়মিত পেয়ারা পাতার নির্যাস গ্রহণ করুন এর ফলে মাসিকের ব্যাথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।

পেয়ারা পাতায় এন্টি এজিং থাকে যা চেহারার উজ্জ্বল ও টাইট রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের জন্য পেয়ারা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস রোগীদের পেয়ারা পাতার চা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগ থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া সম্ভব । চিন্তা ভাবনা থেকে আরাম পেতে বা টেনশন ফ্রি থাকতে পেয়ারা পাতার নির্যাস খাওয়া প্রয়োজন। পেয়ারা পাতায় এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার মতো রোগ সারতেও পেয়ারা পাতা ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিটি মানুষেরই পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা নির্যাস খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

পেয়ারার বিচি খেলে কি হয়

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটা দেশে পেয়ারার জনপ্রিয়তা অনেক। মধ্যবিত্ত পরিবারের ফলের তালিকায় এই ফলটিকে সবসময় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে দুই জাতের পেয়ারা ফল পাওয়া যায়। পেয়ারা যেমন আমার দেহের জন্য উপকারী।তেমনি পেয়ারা বিচি দেহের জন্য উপকারি। পেয়ারার বিচিতে থাকে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে।

পেয়ারার বিচি দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে খাওয়ার ফলে দাঁত মজবুত হয়। গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্যও পেয়ারার বিচি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ওজন কমাতেও পেয়ারার বিচি সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত পেয়ারার সাথে পেয়ারা বিচি খান তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষেরই খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেয়ারার পুষ্টিগুন

পেয়ারা পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রতিটি মানুষের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন সি যুক্ত ফল হলো পেয়ারা। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ,ম্যাগনেসিয়াম , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ ও নিকোটিনিক এসিড ইত্যাদি। পেয়ারা খাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় কতটুকু পুষ্টিগুণ আছে চলুন দেখা যাক।
  • কার্বোহাইড্রেট -(১৭.১ গ্রাম)
  • থিয়ামিন-(০.০৭ গ্রাম)
  • ফসফরাস-(২৯ মিলিগ্রাম)
  • ভিটামিন এ-(২৫০ আই ইউ)
  • ভিটামিন সি -(১৮০ মিলিগ্রাম)
  • নিয়াসিন -(১.২ মিলিগ্রাম)
  • ক্যালসিয়াম- (৩০ মিলিগ্রাম)
  • প্রোটিন -(১ গ্রাম)

রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়

পেয়ারা ফলটি আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু রাতের বেলায় পেয়ারা ফলটিকে এড়িয়ে চলা উচিত। অনেকের ঠান্ডা সমস্যায় ভুগেন আবার যদি রাতে বেলায় পেয়ারা ফল খাওয়া হয়। তাহলে ঠান্ডা লেগে বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি হতে পারে।

তাই রাতের বেলায় এই ফলটি না খাওয়াই ভালো দিনের বেলায় ফলটি খাওয়া উত্তম। রাতের বেলায় পেয়ারা খাওয়ার ফলে যেহেতু হাঁটা হয় না তার কারণে অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই সবারই উচিত রাতের বেলায় এই ফলটিকে প্রত্যাহার করা এবং দিনে গ্রহণ করা।

পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা

পেয়ারার খাবার উপকারিতা অনেক কিন্তু কিছু অপকারিতা আছে যা মাথায় রেখে আমাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত।পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটই দেখা যায়। বেশি পেয়ারা গ্রহণ করার ফলে বদহজম হয়ে পেট ফুলে যেতে পারে। আবার গর্ভ অবস্থায় নারীদের সঠিক পরিমাণের পেয়ারা খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার কারনে বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয়। ঠান্ডা সমস্যাযুক্ত রোগীদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়।

পেয়ারা খাওয়ার ফলে আরো ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে রক্ত পাতলা হয়ে যাই ত্বকের জালা ভাব সৃষ্টি হয়। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই পাতা ব্যবহার করা উচিত। তাই সঠিক পরিমাণ পেয়ারা খাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

অবশেষে বলা যায়

পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।পেয়ারায় হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে, মাসিকের বিভিন্ন ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আবার অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব সৃষ্টি হতে পারে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে তাই বোঝাই যায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি বিদ্যমান।

প্রিয় বন্ধুরা পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। বন্ধুরা এতক্ষন পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন