প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। অনেকেরই ইচ্ছা আছে ওজন কমানোর। কিন্তু প্রতিদিন ১ কেজি করে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের হইত তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য আমি আজকে একটি সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়, ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, উচ্চতা অনুযায়ী ওজন চার্ট, ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়, এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা ওজন কমাতে যে ব্যায়াম প্রয়োজন সে ব্যায়াম আমরা অনেকেই করি না। একটু ভালো খাওয়া দাওয়া করলে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু খাওয়া বাদ দিলেই সেই ওজন কমতেই চায় না। আপনারা হয়তো অনেকেই ওজন কমানো নিয়ে অনেক চিন্তার মধ্যে থাকেন। অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু ওজন কমাতে পারে না।
এই ওজন কমানোর জন্য কেউ কেউ জিমে যেয়েও ভর্তি হন। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো যদি আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত ওজন কমে যাবে। তাই আজকে আমি প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
দীর্ঘদিন শরীরের জমে থাকা চর্বি ঝরানোর সময় পাচ্ছেন না? ধীরে ধীরে আপনার শরীর অনেক ভারী হয়ে যাচ্ছে? শরীরের ওজন কমাতে আপনি খুব চিন্তিত? আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই এই সকল সমস্যার সমাধান আজকে আমি এই অংশে তুলে ধরবো। আপনার সমস্যার সমাধান নিয়ে আজকে আমি চলে আসছি। উপরে আমরা আলোচনা করেছি যে প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আজকে আমরা ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সে সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে শরীর ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে যে ক্যালরি রয়েছে সেটা ঝরে পড়ে যা বাড়তি ওজন কমাতে বেশ ভালো সাহায্য করে। আপনি যদি সময়ের অভাবে ব্যায়াম না করতে পারেন। কিন্তু অনেক ইচ্ছা ওজন কমানোর। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। যদি এরকম ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি জিমে না গিয়ে ওজন কমাতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
সারাদিন যদি আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। তাহলে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমে আসতে সাহায্য করবে। পানিতে কোন ক্যালরি থাকে না তাই পানি পান করলে কোনরকম ক্ষুধাও লাগে না। সেজন্য পানি পান করার মাধ্যমে আপনার অতিরিক্ত খাওয়া অনেক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে। যদি আপনি চান তাহলে গরম পানি পান করতে পারেন। কারণ গরম পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আপনার পেটে থাকা অতিরিক্ত চর্বি এবং অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা ও পেট পরিষ্কার করতে এই গরম পানি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। কারণ আপনি খাবার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন তাহলে ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। তবে যদি পারেন পরিমাণের চেয়েও অনেক কম খাওার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমে যাবে।
ব্যায়াম না করে যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ ওজন বৃদ্ধি করতে চিনি অনেক সাহায্য করে। চিনি রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোলেস্টেরলের মত মারাত্মক রোগ উৎপত্তি হয়। সেজন্য চিনি খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। চিনির পরিবর্তে আপনি গুড় অথবা মধু খেতে পারেন। আশা করি ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন চার্ট
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন চার্ট কেমন হওয়া উচিত অবশ্যই আপনাদের মনে জানার জন্য প্রশ্ন আসতে পারে। তবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের যে স্বাভাবিক ওজন রয়েছে সেটা কত হওয়া উচিত এটা অবশ্যই হিসাব করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি (বিএমআই) এর সাহায্যে উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন নির্ণয় করতে পারবেন। (বিএমআই) ছাড়াও সঠিক ওজন নির্ণয়ের জন্য অন্যান্য উপায়ও রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নারী-পুরুষ উভয়ের (বিএমআই) যদি ২৩ অথবা তার বেশি হয় তাহলে শরীরে বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অনুযায়ী উল্লেখিত জনগোষ্ঠীর যে কত ওজন হওয়া উচিত সেটা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তাই সেটির তালিকায় নিচের আমরা তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী ওজন চার্ট কতটুকু হওয়া উচিত।
মানুষের উচ্চতা এবং ওজন সীমাঃ
৪--ফিট--২--ইঞ্চি--মানুষের--৩০--থেকে--৩৭--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৩--ইঞ্চি--মানুষের--৩২--থেকে--৩৯--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৪--ইঞ্চি--মানুষের--৩৩--থেকে--৪০--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৫--ইঞ্চি--মানুষের--৩৪--থেকে--৪২--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৬--ইঞ্চি--মানুষের--৩৫--থেকে--৪৩--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৭--ইঞ্চি--মানুষের--৩৭--থেকে--৪৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৮--ইঞ্চি--মানুষের--৩৮--থেকে--৪৬.৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--৯--ইঞ্চি--মানুষের--৩৯--থেকে--৪৮--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--১০--ইঞ্চি--মানুষের--৪০--থেকে--৫০--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৪--ফিট--১১--ইঞ্চি--মানুষের--৪২--থেকে--৫১--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--০--ইঞ্চি--মানুষের--৪৩--থেকে--৫৩--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--১--ইঞ্চি--মানুষের--৪৪--থেকে--৫৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--২--ইঞ্চি--মানুষের--৪৬--থেকে--৫৭--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৩--ইঞ্চি--মানুষের--৪৮--থেকে--৫৯--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৪--ইঞ্চি--মানুষের--৪৯--থেকে--৬১--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৫--ইঞ্চি--মানুষের--৫০.৪--থেকে--৬২.৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৬--ইঞ্চি--মানুষের--৫২--থেকে--৬৪--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৭--ইঞ্চি--মানুষের--৫৪--থেকে--৬৬--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৮--ইঞ্চি--মানুষের--৫৬--থেকে--৬৮.৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--৯--ইঞ্চি--মানুষের--৫৭--থেকে--৭০--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--১০--ইঞ্চি--মানুষের--৫৯--থেকে--৭৩--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৫--ফিট--১১--ইঞ্চি--মানুষের--৬১--থেকে--৭৫--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৬--ফিট--০--ইঞ্চি--মানুষের--৬৩--থেকে--৭৭--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৬--ফিট--১--ইঞ্চি--মানুষের--৬৪--থেকে--৭৯--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
৬--ফিট--২--ইঞ্চি--মানুষের--৬৬--থেকে--৮১.৩--কেজি--ওজন--হতে--হবে।
প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেক চিন্তিত মধ্যে রয়েছে। তারা খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাই কিন্তু পারছেনা। অনেকেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ওষুধ সেবন করে আবার জিমে যায়। এইগুলো ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে আমি আজকে আপনাদের সামনে কিভাবে প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় রয়েছে সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
যদি আপনার ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আপনি চাইলেই কিছু নির্দিষ্ট রুটিন মেনে আপনার অতিরিক্ত ওজন যে রয়েছে সেটা দূর করতে পারেন। পুষ্টিবিদ্যারা কিছু কাজের কথা বলেছেন সেগুলো যদি আপনি রুটিন মেনে করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন এক কেজি করে ওজন কমানো সম্ভব হবে। আপনি বিষয়টি জেনে হইত অবাক হচ্ছেন? এইটা অবাক হওয়ার কিছুই নেই এটা স্বাভাবিক বিষয়।
আপনি যেদিন থেকে ওজন কমাতে চাচ্ছেন সেই দিন সকালে আপনার ওজন মেপে নেবেন। তারপর যে কাজগুলো করতে বলবো সে কাজ করার পরে আপনি ২৪ ঘন্টা পর আপনার ওজন মেপে দেখবেন অবশ্যই একটু হলেও কম হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়াও আপনার শরীরের টক্সিন ও শর্করাকে বের করতে এই পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরে থাকা যে ক্ষতিকর পদার্থগুলো রয়েছে অর্থাৎ টক্সিন এবং শর্করা এইগুলো বের করতে সহায়তা করে। এই ক্ষতিকর পদার্থ আপনার প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয় এবং আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনার শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার ওজন কমাতেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
শাকসবজি ও ফল খাওয়াঃ সাধারণত অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল খেয়ে থাকে। তবে এইটা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার উপকারের চেয়ে অপকারিতা বেশি হবে। তাই শাকসবজি খাবেন তবে পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। শাকসবজিতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক কম থাকার কারণে শরীরের মেদ কমাতে বেশ ভালো সাহায্য করে। তাই যে শাকসবজিতে অল্প পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সেই শাক সবজি গুলো বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গ্রিন টিঃ আপনারা অনেকেই সকালে অথবা বিকেলে লাল চা অথবা দুধ চা খেয়ে থাকেন। তবে এটি না খেয়ে আপনি গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টি পরিপাকতন্ত্রের জমে থাকা ক্ষতিকর খাদ্য গুলি খুব দ্রুত শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। এই গ্রিন টি শরীরের ওজন কমাতে সর্বপ্রথম ধাপ মনে করবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনোভাবেই কফি খাওয়া যাবেনা। এতে করে আপনার শরীর ক্ষতিকর হতে পারে।
খাবার নিয়ন্ত্রণঃ অনেকেই রয়েছে খাবার নিয়ন্ত্রণের সময় খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। এতে করে দেখা যায় শরীরে ওজন অনেক বৃদ্ধি হতে থাকে। বিভিন্ন কাজের ফাঁকে অথবা কোথাও যাওয়ার সময় যে কোনো খাবার আমরা খেয়ে ফেলি। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যদি আমরা ওজন কমাতে চাই তাহলে আমাদের খাবার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আপনাকে যেগুলো খাবার একেবারেই না খেলে ভালো সেগুলো খাবার হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার, দুগ্ধ জাতীয় কোন খাবার ও অ্যালকোহল এগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
পর্যাপ্ত ঘুমানোঃ এছাড়াও আপনাকে খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর রাখতে হবে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমাবেন। 24 ঘন্টা পরে আপনি আপনার ওজন মেপে দেখুন দেখবেন যে আপনি নিজেই এর ফলাফল চোখে দেখতে পাচ্ছেন।
শসা খাওয়াঃ শরীরকে অ্যালকালাইন থেকে মুক্তি করতে এই শসা বেশ ভালো সাহায্য করে। এটির শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। এই শশা খেলে আপনার পেট সবসময় ঠান্ডা ও কোমল থাকবে। এছাড়াও পারস্পরিকভাবে ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে এবং খাদ্য পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ভালো সাহায্য করে।
শরীর থেকে ঘাম ঝরানোঃ আপনি যদি বিনা পরিশ্রমে মেদ কমাতে চান তাহলে এইটা একেবারেই অসম্ভব। কারণ অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরী। সাঁতার কাটতে হবে, দৌড়াতে হবে, সাইকেল চালাতে হবে, এগুলো যদি আপনি করতে পারেন। তাহলে আপনার শরীর থেকে খুব দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে। আপনার শরীর থেকে আপনি যত ব্যায়াম করে ঘাম ঝরাবেন আপনার শরীরে মেদ কমতে আরো বেশি সাহায্য করবে। আশা করি প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানো উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
পূর্বে আমরা জেনেছি যে প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে। আজকে আমরা জানবো ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। যদিও অনেক মানুষের এই সম্পর্কে ধারণা নাও থাকতে পারে। কারণ অনেক মানুষ ওজন কমানোর জন্য নানা রকম ভাবে চেষ্টা করে থাকেন। কেউ কেউ ওজন কমানোর ওষুধ সেবন করে থাকেন।
আবার কেউ কেউ জিমে যে ভর্তি হন। তবে এই গুলো ঝামেলা থেকে আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে নিজের ওজন কমাতে চান। তাহলে ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারেন। এই ফুডটি আপনার খুব দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন।
চিয়া সিড শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফুড। এই চিয়া সিডকে সুপার ফুডও বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা থ্রি, হেলদি ফ্যাট সহ আরো অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান। বর্তমানে অনেক মানুষ ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। চিয়া সিড খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনো খিদে পায় না। তবে অনেক মানুষ ভেবে থাকেন যে শুধু চিয়া সিড খেলে ওজন কমে যাবে। কিন্তু চিয়া সিড খেলে যে ওজন কমবে এটা একদমই নয় সঙ্গে শরীরচর্চা ও ব্যায়ামও করতে হবে।
তবে চিয়া সিট খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। বিশেষজ্ঞের মতে দ্রুত ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে ২ চামচ চিয়া সিড এবং ২ চা চামচ লেবুর রস মিশ্রণ করে সেটা যদি খাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
খাওয়ার আগে পানির সাধারণ তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট ধরে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর খেতে হবে। যেহেতু চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ নেয়। সেজন্য চিয়া সিড, শরবত অথবা টকদই এইগুলো খাবারের সঙ্গে মিশ্রণ করে খাওয়া যায়। আশা করি ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। যদি লেখার মধ্যে কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। (ধন্যবাদ)
৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
অনেকেই ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যারা অনেকদিন পর্যন্ত ওজন কমানো নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কোন কিছুতেই ওজন কমাতে পারছেন না। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। অনেকেই হয়তো অবাক হতে পারেন যে ৭ দিনে কিভাবে ১০ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। আসলে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে এটা অনেক কষ্টদায়ক। এই পোস্টটি আপনি পুরো পড়লে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নিন।
অল্প সময়ের আপনাকে ওজন কমানোর জন্য অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। আপনার যদি সেই ধৈর্য না থাকে তাহলে আপনি ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাতে পারবেন না। আপনাকে ধৈর্য ধরে সেই ব্যায়ামগুলো করতে হবে। আপনাকে নিয়মিত চলাফেরা করতে হবে এবং পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। এক সপ্তাহ মধ্যে আপনার ওজন কমানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়াও খাবারের কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে অনেক ওজন ঘরে বসেই কমাতে পারবেন।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আপনাকে শুধুমাত্র ডায়েটিং ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। এর পাশাপাশি আপনাকে সঠিক নিয়মে ভালো ব্যায়াম করতে হবে। যা আপনার ৭ দিনে ওজন কমিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। ব্যায়ামের জন্য আপনাকে সময়সূচী তৈরি করে নিতে হবে। আগামী সাত দিনে আপনি কিভাবে ব্যায়াম করবেন।
নিজেকে এমন ভাবে সাতদিনে তৈরি করবেন যেন এই সাত দিন পর আপনার ওজন অনেকটাই কমে যায়। আপনি যখন চলাফেরা করবেন তখন আপনি ৫ মিনিট দৌড়াবেন এবং তারপর হাঁটাহাঁটি করবেন। এভাবে করতে থাকবেন পাশাপাশি সাঁতার দেওয়ার চেষ্টা করবেন এটি খুব দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো একটি ব্যায়াম।
আপনি সাত দিনে একটি খাবারের পরিকল্পনা তৈরি করবেন। সকাল, দুপুর এবং রাতে যে খাবারগুলো খাবেন সে খাবারগুলোর মধ্যে চর্বি যেন না থাকে। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনাকে সেইগুলো খাবারের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে যেগুলো খাবার আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কিছু খাদ্য অভ্যাস ত্যাগ করুনঃ
আপনি যেগুলো খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি হবে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ আপনার ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো জরুরী। তাই সবসময় নিজেকে ওজন কমানোর দিকে ফোকাস রাখবেন। কিছু খাদ্য অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনার অনেক উপকার হবে।
- ডেজার্ট খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সব সময় এটি খাওয়া যাবে না।
- জাঙ্ক ফুড খাবেন না। এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- যদি আপনার দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়ার অভ্যাস থাকে। তাহলে এই অভ্যাসটা বাদ দিতে হবে।
- অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। যেগুলো খাবার খেলে আপনার ওজন কমাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- পেটের এক তৃতীয়াংশ খালি রাখবেন।
- যদি আপনার ক্ষুধা না লাগে তখন আপনি অতিরিক্ত কোন কিছুই খাবেন না। আর যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে পরিমাণ মতো খাবেন।
৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো উপায় এর একটি ভালো দিক হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন না ঘুমাতে পারেন। তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। কারণ ৫ ঘন্টা কম ঘুমালে আপনার প্রায় ৩২ পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ঘুম কতটা আপনার জন্য প্রয়োজন।
যদি আপনি প্রথম হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনার ব্যায়াম করতে অনেক কষ্ট হতে পারে। তবে এইটা আস্তে আস্তে এটি ঠিক হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে এইটুকু তো কষ্ট করতেই হবে। ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় খুব একটা সহজ কাজ নয়। যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো পরিশ্রম করেন। তাহলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।
১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
কয়েকদিন একটু ভালো খাবার খেলে ৮ থেকে ১০ কেজি ওজন বেড়ে যায়। পরে যদি আর না খাওয়া হয় তারপরও এই অতিরিক্ত ওজন যেন কমতেই চায় না। এই ওজনের সমস্যা নিয়ে যারা ভোগেন। তারা এরকম কথায় বলে থাকেন। তারা এই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজেন। তবে ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানো উপায় সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। আপনাদের এই সমস্যাগুলোর কারণে আজকে আমি এই আর্টিকেলে ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নিন আপনার সমস্যার সমাধান।
মাত্র ৩০ দিনে সুস্থভাবে ১০ কেজি ওজন কমানো কখনোই সম্ভব নয়। যদি আপনি অসুস্থ বা কোন সমস্যায় ভুগেন। সেক্ষেত্রে ৩০ দিনে ওজন কমতে পারে। তবে একজন সুস্থ মানুষের কমবে না। তবে আপনি ৩০ দিনের যতটুক পারবেন খুব দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম এবং সবকিছু খাওয়া দাওয়া পরিবর্তন করতে পারেন।
এর পাশাপাশি সাঁতার কাটতে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। এতে করে ৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন না কমলেও কিছু ওজন কমে যাবে। তবে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য রাখতে হবে ধৈর্য না রাখলে আপনি সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করে খুব দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন না। ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আশা করি একটি সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।
মাত্র ৩০ দিনে সুস্থভাবে ১০ কেজি ওজন কমানো কখনোই সম্ভব নয়। যদি আপনি অসুস্থ বা কোন সমস্যায় ভুগেন। সেক্ষেত্রে ৩০ দিনে ওজন কমতে পারে। তবে একজন সুস্থ মানুষের কমবে না। তবে আপনি ৩০ দিনের যতটুক পারবেন খুব দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম এবং সবকিছু খাওয়া দাওয়া পরিবর্তন করতে পারেন।
এর পাশাপাশি সাঁতার কাটতে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। এতে করে ৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন না কমলেও কিছু ওজন কমে যাবে। তবে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য রাখতে হবে ধৈর্য না রাখলে আপনি সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করে খুব দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন না। ১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আশা করি একটি সঠিক ধারণা পেয়ে গেছেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন