ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেই তরমুজ খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু অনেকেই তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। আপনি যদি তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আর্টিকেলটি তরমুজের কিছু মজাদার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে।
তরমুজ খেলে কি হয়
গরমকাল আসলেই যেন চারিদিকে তরমুজ খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গরমকালে সকলের কাছে একটি প্রিয় ফল হচ্ছে তরমুজ। তরমুজে রয়েছে ৯২ ভাগ পানি তাই গরম কালে সকলেই এই ফল খেয়ে থাকেন। এই ফল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেই খেতে পছন্দ করে। এই ফল খেতে শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয় তরমুজ হচ্ছে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ একটি ফল।
তরমুজে উপস্থিত পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। তরমুজ খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও তরমুজ আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও অনেক বেশি সাহায্য করে। তরমুজ খাওয়ার কারণে আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এগুলোর পাশাপাশি তরমুজ খাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। তরমুজ আমাদের জন্য উপকারী ফল হিসাবে কাজ করে। তাই গরমকালে নিজে এবং বাচ্চাদের তরমুজ খেতে দিন। এতে করে আপনার এবং আপনার বাচ্চার শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধান হবে।
তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে
তরমুজকে ভিটামিন এ জাতীয় ফল বলা হয়ে থাকে। তরমুজে রয়েছে বেশিরভাগ পানি। তরমুজে চিনির পরিমাণ অনেক কম। কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন অতিরিক্ত তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে? অনেকেই মনে করেন অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ওজন বেড়ে যাবে। এ কারণে তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করেন।
কিন্তু আপনাদের জানা দরকার তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যা দেখা দেয় না। কারণ তরমুজে চিনির পরিমাণ অনেক কম। আর সেই কারণে এই ফলে ক্যালরি সামান্য পরিমাণে থাকে। যেহেতু এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম তাই এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীগণ তরমুজ নিয়ে বিভিন্ন রকম গবেষণা করেছেন। আর সেই গবেষণায় দেখা গেছে যে তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যা হয় না বরং তরমুজ খাওয়ার কারণে মানুষের শরীরের রক্তচাপ কমে এবং ধমনীর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে।
তরমুজে কি এলার্জি আছে
অনেকেই মনে করেন তরমুজে এলার্জি রয়েছে। কিন্তু আসলেই তরমুজে কি এলার্জি আছে। তরমুজে এলার্জি আছে এই কথা বলা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ তরমুজ এলার্জি জাতীয় ফল নয়। তরমুজ খেলেই যে আপনার এলার্জি হবে তা কিন্তু নয়। তরমুজে উপস্থিত পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করে।
কিন্তু এলার্জির মতো সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে তরমুজ খাওয়ার কারণে এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এটাও মনে রাখা উচিত এই সমস্যা সকলের ক্ষেত্রে নয়। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় যে তরমুজ খাওয়ার কারণে এলার্জির মতো সমস্যা হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে। তাই প্রথমে আপনাকে তরমুজ খেয়ে দেখতে হবে আপনার তরমুজ খাওয়ার কারণে এলার্জির মত কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
যদি তরমুজ খাওয়ার কারণে আপনার এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ তরমুজ খাওয়ার কারণে যদি আপনার এলার্জির মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তরমুজ খেলে তা আপনার শরীরে উপকারিতা চাইতে অপকারিতা বেশি দেখা দেবে।
খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়
তরমুজ এক ধরনের পানি জাতীয় ফল যেই ফলে পানির সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। তাই গ্রীষ্মকালে পানির চাহিদা মেটাতে এই ফলের ভূমিকা অনেক বেশি। শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে নিঃসন্দেহে আপনি তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজ খাওয়ার ফলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। এছাড়াও পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতেও তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মকালে এই ফল খেলে আপনি পাবেন অনেক উপকার।
কিন্তু এটি খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যেকোনো সময় তরমুজ খেলে এটি আপনার শরীরের অপকারিতা বয়ে নিয়ে আসতে পারে। অতিরিক্ত তরমুজ খাচ্ছেন তরমুজের উপকারিতা পাওয়ার জন্য কিন্তু সঠিক সময়ে না খাওয়ার কারণে এর উপকারিতা আপনার কোন কাজেই আসছে না। আপনার প্রথমে জানা উচিত কোন সময় তরমুজ খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী।
অথবা তরমুজ খালি পেটে খেলে কি হয় আর তরমুজ ধরা পেটে খেলে কি হয়। এই সকল বিষয়ে ধারণা থাকা দরকার। তরমুজ খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তরমুজ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
এর কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও রাতের বেলা ঘুমানোর আগে তরমুজ খেলে হতে পারে হজমের সমস্যা। বিকেল বেলায় তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রেও আছে বাধা নিষেধ। সর্বশেষ কথা বলা যায় যে খালি পেটে তরমুজ না খেয়ে ভরা পেটে তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা
তরমুজ আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী ফল। তরমুজ খেলে এর উপকারিতা আমরা আমাদের শরীরে খুব সহজেই লক্ষ্য করতে পারি। কিন্তু কথায় আছে যেই জিনিসের উপকারিতা থাকবে সেই জিনিসের তো অপকারিতাও থাকবেই। ঠিক তেমন তরমুজের রয়েছে উপকারিতা এবং অপকারিতা। তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলোঃ
উপকারিতাঃ তরমুজ খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের যেই উপকার হয় সেই উপকারিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের হার্টের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে তরমুজ খাই তাহলে তার শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমে যায় এবং হার্ট ভালো থাকে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ তরমুজের ভেতর রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যেহেতু ভিটামিন এ আমাদের শরীরের নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে এবং কোষের সমস্যাগুলো সমাধান করে। তাই বলা যায় যে তরমুজ খেলে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ তরমুজের ভিতর রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই আপনি সুস্বাদু ফল তরমুজ খেয়েও আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ তরমুজে উপস্থিত ভিটামিন এ আমাদের চোখের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এছাড়াও বয়সকালে দৃষ্টি শক্তি লোপ এর মত সমস্যার সমাধানেও তরমুজের ভূমিকা অনেক বেশি।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা আমাদের শরীরের ভজন শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও রয়েছে তরমুজে ফাইবার। যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন। আর এই লাইকোপেন আমাদের শরীরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই যদি আপনি আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান তাহলে নিয়মিত তরমুজ খেতে পারেন।
পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যথা করে। আর কেন সেই ব্যথা তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। আমাদের পেশির ব্যথা কমাতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তরমুজে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড সিট্রুলিন। যা আমাদের পেশির ব্যথা কমায়।
শরীর আদ্র রাখতে সাহায্য করেঃ আমরা সকলেই জানি তরমুজে রয়েছে ৯২% পানি। যা আমাদের শরীরের আদ্র ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের শুষ্ক ভাব দূর হয়। তাই আপনার শরীরে যদি আদ্রতা কম থাকে এবং শরীরে শুষ্ক ভাব থাকে তাহলে তরমুজ খেতে পারেন উপকৃত হবেন।
অপকারিতাঃ প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে অপকারিতা ঠিক তেমনই তরমুজেরও রয়েছে উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা। আপনাদের সামনে তরমুজের অপকারিতা তুলে ধরলাম।
হার্টের সমস্যাঃ তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম। যা আমাদের হার্টের জন্য অনেক বেশি উপকারী হিসাবে প্রমাণিত। নির্দিষ্ট মাত্রায় পটাশিয়াম আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের হাড় ও পেশীকে মজবুত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। কিন্তু অধিক মাত্রাই পটাশিয়াম যদি আমাদের শরীরের সরবরাহ করা হয় যেমন অতিরিক্ত তরমুজ খেলে আমাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ ও বেড়ে যায় যার কারণে হার্টের বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে।
ডায়রিয়া হতে পারেঃ কোন ব্যক্তি যদি পরিমাণের চেয়ে বেশি তরমুজ খাই তাহলে তার ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ তরমুজে রয়েছে ফাইবার। আর যদি আমাদের শরীরে তরমুজের দ্বারা অতিরিক্ত ফাইবার সরবরাহ হয় তাহলে ডায়রিয়া সহ পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের একেবারেই উচিত নয়। অতিরিক্ত তরমুজ খেলে তা আমাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝেশুনে তরমুজ খেতে হবে।
লিভারের প্রদাহের ঝুঁকিঃ কিছু কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন যারা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করেন অথবা মদ খান। সে সকল ব্যক্তিদের তরমুজ এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ তরমুজের উপস্থিত লাইকোপিন অ্যালকোহলের সাথে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে লিভারের প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই যে সকল ব্যক্তি মদ পান করে তাদের তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শরীরে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধিঃ আমাদের সকলের শরীরের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির চাহিদা রয়েছে। আর আমাদের উচিত সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি আমাদের শরীরে সরবরাহ করা। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খাওয়ার পরেও যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ তরমুজ খান তাহলে আমাদের শরীরের চাহিদার চেয়েও বেশি পানি সরবরাহ হয়। যার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। যেমন পা ফোলা, ক্লান্তি বোধ ইত্যাদি।
তরমুজের বীজের উপকারিতা
শুধুমাত্র তরমুজ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয়। তরমুজের পাশাপাশি তরমুজের বীজের ও উপকারিতা রয়েছে। তরমুজ খাওয়ার সময় তরমুজের বীজ ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে পরে রোদে শুকিয়ে অথবা ভেজে খেলে তা থেকে আমাদের শরীর বিভিন্ন উপকার পেয়ে থাকে। এখন জেনে নেওয়া যাক তরমুজের বীজের উপকারিতা গুলো কি কি।
- তরমুজের বীজ খাওয়ার কারণে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তরমুজের ভিজে রয়েছে আঁশ। যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে আমাদের পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- তরমুজের বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও তরমুজের বীজ আমাদের স্নায়ু সচল রাখে।
- তরমুজের বীজে রয়েছে প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- তরমুজের বীজ আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। কারণ তরমুজের বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট ভালো রাখে।
- তরমুজের বীজ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তরমুজের বীজ আজ থেকে ফেলে না দিয়ে খাওয়া শুরু করুন।
তরমুজের বিচির অপকারিতা
আপনারা আর্টিকেলে তরমুজের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। তরমুজের বীজ বিভিন্ন সময় আমাদের শারীরিক সমস্যার কারণ ও হয়ে দাঁড়ায়। তাই তরমুজের বীজ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বুঝে শুনে খেতে হবে। তরমুজের বিচির অপকারিতা গুলো জেনে নিন।
- যেহেতু তরমুজের বীজে রয়েছে আঁশ তাই তরমুজের বীজ বেশি খেলে আমাদের পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তরমুজের বীজ বেশি না খাওয়াই ভালো।
- তরমুজের বীজে থাকা পটাশিয়াম আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর ও হতে পারে। তাই আপনার যদি কিডনির কোনরকম সমস্যা থাকে তাহলে তরমুজের বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- তরমুজের বীজ এলার্জির মতো সমস্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই যে সকল মানুষের এলার্জি রয়েছে তাদের তরমুজের বীজ খাওয়ার থেকে না খাওয়াই ভালো।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আপনারা তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা আর্টিকেলটি পড়ে তরমুজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তরমুজ আমাদের জন্য কতটা উপকারী এবং তরমুজ কতটা খাওয়া উপকারী তা বুঝতে পেরেছেন। তাই সুস্বাদু ফল বলেই অতিরিক্ত তরমুজ না খেয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তরমুজ খান। এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার হবে কোনরকম ক্ষতি হবে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন