গর্ভাবস্থা মা এবং শিশুর জন্য একটি স্বপ্নজনক অভিজ্ঞতা যা অনেক আনন্দ ও সুখের সঙ্গে মিশে থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে নিঃসঙ্গ সমস্যা বৃদ্ধির একটি জনপ্রিয় কারণ হলো স্তনে অবনমন বা ব্রেস্ট ইঞ্জক্রিশন।
স্তন বা ব্রেস্টে অবনমন স্থানান্তর হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই নিবন্ধে আমরা জানবো গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হলে কেন তা ঘটতে পারে এবং এর প্রতিরোধের জন্য আপনি কী করতে পারেন।
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তনে অবনমনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু প্রধান কারণ নিম্নরূপঃ
- হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা সময়ে মাতৃশরীর হরমোনাল পরিবর্তন হয় যা স্তনের আকার, আকৃতি এবং আরও কিছু পরিবর্তনের জন্য ভূমিকা পালন করে। এই পরিবর্তন স্তনের অবনমনের জন্য কারণ হতে পারে।
- শরীরের ওজন ও মাংসপেশির বৃদ্ধি: গর্ভধারণের সময় মায়ের শরীরের ওজন ও মাংসপেশির বৃদ্ধি ঘটে। এই পরিবর্তনের ফলে স্তন বৃদ্ধি হতে পারে এবং সেই জন্য অবনমন ঘটতে পারে।
- ইঞ্জক্রিশন বা অনুপস্থিতি: গর্ভাবস্থার সময় মায়ের শরীরে প্রোগেস্টারোন হরমোন বেশি হয়ে থাকে। এই হরমোন বা অন্যান্য ওজনের জন্য স্তনের ব্রেস্ট টিউবে তার প্রয়োজনীয় অপসারণ ঘটতে পারে বা স্তনে ইঞ্জেকশন হয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী হতে পারে।
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হওয়ার প্রতিরোধের উপায়
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হওয়ার প্রতিরোধের জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনঃ
- স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: মাতৃশরীর জন্য সবচেয়ে প্রাথমিক প্রয়োজনীয় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। আপনার ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন পূর্ণ আহার গ্রহণ করুন যা মায়ের স্তনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
- পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক ব্রা পরিধান করুন: যখন মায়ের স্তনে বৃদ্ধি ঘটছে, তখন সঠিক মাপের ও পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ। এটি স্তনের ভার সঠিকভাবে সহজে সহজে বিতরণ করতে সাহায্য করবে এবং অবনমন এবং আন্দোলন কমাবে।
- কোম্পানির ব্রা ব্যবহার করুন: কোম্পানির ব্রা মায়ের স্তনের ভার বিতরণ করতে সহায়তা করবে এবং অবনমন এবং আন্দোলন কমাবে। আপনার ব্রা সঠিক মাপের হওয়া উচিৎ।
- নিয়মিত স্তন মালিশ করুন: নিয়মিত স্তন মালিশ করা অবনমন বা ব্রেস্ট ইঞ্জেকশনের প্রতিরোধে উপকারী হতে পারে। মালিশের মাধ্যমে স্তনের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি হবে এবং সেই জন্য স্তনের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা যাবে।
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হলে কীভাবে আমি তা চিনতে পারি?
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তনে অবনমনের সঙ্গে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়। স্তন স্পন্দন, ব্রেস্ট টিউব থেকে দ্রব বের হতে পারে এবং আপনি স্পষ্টভাবে বোঝতে পারেন যখন আপনার ব্রা সাইজে পরিবর্তন হয়। যদি আপনি এই ধরনের লক্ষণ দেখতেন, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমিত হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কত?
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তনে অবনমনের সঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি হয়ে যায়। স্তনে অবনমন হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, কিন্তু এটি অনিশ্চিত নয়। গর্ভাবস্থা সময়ে স্তনে স্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং সেই জন্য একটি বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে যদি কোনও গোপন লক্ষণ দেখা দেয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ অবিলম্বে গ্রহণ করুন।
স্তন অবনমন এবং স্তন ক্যান্সারের মধ্যে কি সম্পর্ক আছে?
স্তন অবনমন হলে স্তনের সঠিক ফাংশনিং পরিবর্তন হয় এবং ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকি বাড়ে। স্তনের অবনমন হলে আপনার পরিবারে ক্যান্সারের রোগীদের সংখ্যা বা বীমারীর পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে এবং আপনি ব্যক্তিগতভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
সর্বশেষ কথা
গর্ভাবস্থার পরবর্তীতে স্তন অবনমন করা একটি সাধারণ সমস্যা যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, প্রাকৃতিক ব্রা পরিধান করা, নিয়মিত স্তন মালিশ করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে নিয়মিত আচরণ করা অবশ্যই স্তনের অবনমনের প্রতিরোধে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য মাতৃশরীর স্বাস্থ্যকে সঠিকভাবে মানব এবং নিরাপদ রাখা উচিৎ।
إرسال تعليق