আপনারা মসুর ডালে কি এলার্জি আছে কি নেই সে সম্পর্কে জানতে চান? যদি জানতে চান
তাহলে মসুর ডালে কি এলার্জি আছে আর্টিকেলটি পড়ুন। আমরা মসুর ডালে কি এলার্জি আছে
আর্টিকেলে মসুর ডালে কি ভিটামিন আছে এবং মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কত সে
সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
আশা করছি আপনারা মসুর ডালে কি এলার্জি আছে আর্টিকেলটি পড়ে মসুর ডাল সম্পর্কে
সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।
মসুর ডালে কত ক্যালরি
আমাদের সকলের পরিচিত ডালের মধ্যে একটি ডাল হচ্ছে মসুর ডাল। গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু
করে শহর পর্যন্ত সবখানেই এই ডাল দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়াও ছোট বাচ্চা থেকে
শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের পছন্দের ডালের মধ্যে একটি ডাল হচ্ছে মসুরের
ডাল।
মসুর ডালের ভেতর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। তাই ডাক্তাররা ছোট বাচ্চাদের
খাবার খেতেও মসুর ডালকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মসুর ডালের ভেতর কত
ক্যালরি আছে তা অনেকেরই না জানা। ক্যালরি আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
তাই আমাদের শরীরের ক্যালরির ঘাটতি কমাতে নিঃসন্দেহে মসুরের ডাল খাওয়া যেতে
পারে।
এক কাপ রান্না করা মসুরের ডালে রয়েছে ২২৬ ক্যালরি। এছাড়াও ১০০ গ্রাম মসুর ডালে
থাকে ৩৫২ ক্যালরি। আশা করছি আপনারা পরে বুঝতে পেরেছেন মসুরের ডালে ক্যালরি কতটুকু
উপস্থিত রয়েছ। যা অন্য ডালের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। তাই এই ডাল আমাদের
অন্যান্য ডালের চেয়ে শরীরে ক্যালরি বেশি সরবরাহ করে থাকে।
মসুর ডালে কি গ্যাস হয়
অনেক সময় আমাদের গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকলেও আমরা মসুর ডাল খেয়ে থাকি। কিন্তু
মসুর ডাল হচ্ছে গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবারের মধ্যে একটি খাবার। এখন আপনার এ কথা শুনে
প্রশ্ন জাগতে পারেন মসুর ডালে কি গ্যাস হয়। তাহলে আমার উত্তর হবে মসুর ডাল
খাওয়ার কারণে গ্যাসের মত সমস্যাও হতে পারে।
মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন ও ফাইবার। আর ফাইবার এমন এক ধরনের উপাদান যা আমাদের
গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। তাই যদি আপনার মনে হয় যে আপনার গ্যাসের সমস্যা রয়েছে
তাহলে অবশ্যই মসুর ডাল এড়িয়ে চলতে হবে।
মসুর ডালে কি ভিটামিন আছে
মসুর ডাল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ডাল নামে পরিচিত। খিচুড়ি থেকে শুরু করে ভাতের
সাথে সকল ক্ষেত্রেই মসুরের ডালের তুলনা অতুলনীয়। খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি
রয়েছে মসুর ডালের অনেক গুন। মসুরের ডালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও রয়েছে।
কিন্তু মসুর ডালে কি ভিটামিন আছে? মসুর ডালে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি২
এছাড়াও ভিটামিন বি৬।
এই তিন ধরনের ভিটামিন মসুর ডালে উপস্থিত থাকায় মসুর ডাল খাওয়ার কারণে এই তিন
ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। আপনি আপনার শরীরে এই তিন ধরনের ভিটামিন সরবরাহ
করতে নিঃসন্দেহে নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত মসুর ডাল রাখতে পারেন।
মসুর ডালে কি এলার্জি আছে
মসুর ডাল হচ্ছে এলার্জি সৃষ্টি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। আপনারা হয়তো
অনেকেই জানেন না মসুর ডালকে এলার্জির একটি বড় অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
অনেকেই না জানা কারণে এলার্জি থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় মসুর ডাল খাচ্ছেন।
যে সকল ব্যক্তি এলার্জির মতো সমস্যা থাকার পরেও মসুর ডাল খেয়ে থাকেন তারা অনেক
বড় একটি ভুল কাজ করে থাকেন। মসুর ডাল অন্যান্য পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ ঠিকই কিন্তু
মসুর ডাল এলার্জির ও কারণ। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে কোন ব্যক্তির যদি
এলার্জি থাকে এবং তিনি মসুর ডাল খান তাহলে তার এলার্জি অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে
যায়।
কিন্তু মসুর ডাল খেলেই যে এলার্জি হবে এমন কিন্তু নয়। যাদের শরীরে এলার্জির মতো
সমস্যা রয়েছে তারা যদি মসুর ডাল খান তাহলে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনারও যদি
এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কত
মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ কত না জেনে থাকলে জেনে নিন। মসুরের ডালকে প্রোটিনের
একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য বলা হয়ে থাকে। তাই চিকিৎসকরা প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে
মসুর ডালের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডাল থেকে প্রায় ২৬ গ্রাম
প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের অনেকাংশে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে মসুর
ডাল বেছে নেয়া যেতে পারে।
মসুর ডালে কি কি উপাদান আছে
মসুর ডাল আমাদের কাছে এক ধরনের সুস্বাদু ডাল। বিশেষ করে আমরা বাঙালি আমাদের ভাতের
সাথে মসুর ডাল হলে আর কিছু প্রয়োজন পড়ে না। ভাতের সাথে মসুর ডাল হলে যেন সব
ধরনের খাবারকে হার মানিয়ে দেয়।
মসুর ডাল অনেক সুস্বাদু তা তো ঠিকই এর পাশাপাশি মসুর ডাল পরিপূর্ণ বিভিন্ন
পুষ্টিগুণ উপাদানে। তাই আপনারাও স্বাদ এর পাশাপাশি পুষ্টিগুণ পেতে রাখতে পারেন
খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল। মসুর ডালে কি কি উপাদান আছে জেনে নিন।
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি২
- ভিটামিনবি৬
- ভিটামিন সি
- ফসফরাস
- ক্যালসিয়াম
- ম্যাগনেসিয়াম
- প্রোটিন
- ফাইবার
- ক্যালোরি
উপরের উপাদান গুলো মসুর ডালের উপস্থিত রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম
সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। যেমন ভিটামিন এ, বি, ওসি আমাদের চোখের বিভিন্ন
রকম সমস্যা সমাধান করে থাকে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের হজম শক্তি ঠিক রাখতে মসুরের
ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মসুর ডালে আমিষের পরিমাণ
মসুর ডালে আমিষের পরিমাণ সরাসরি ভাবে বিবেচনা করা না গেলেও বলা যায় যে মসুরের
ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আর যেই সকল খাবার প্রোটিনের উৎস সেই সকল
খাবার কে অবশ্যই আমিষের উৎস বলা হয়ে থাকে।
তাই যেহেতু মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সেহেতু বলা যায় যে মসুর
ডালে ও প্রচুর পরিমাণে আমিষ উপস্থিত। তাই আপনি যদি চান আপনার শরীরে আমিষ সরবরাহ
করতে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ডাল সাইডে রেখে মসুর ডাল বেছে নিতে পারেন।
মসুর ডালের উপকারিতা
যেহেতু মসুর ডাল বিভিন্ন পুষ্টি গুনে ভরপুর সেতুর অবশ্যই বলা যায় যে মসুর ডাল
আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু মসুর ডাল আমাদের শরীরের কি কি উপকার
করে থাকে তা কি আপনি জানেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। মসুর ডালের
উপকারিতা গুলো কি কি।
হাড়ের জোড় বাড়াতে সাহায্য করেঃ মসুরের ডালে রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন
এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আমাদের দাঁত
এবং হাড় এর জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। মসুর ডালে যেহেতু ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে সেহেতু মসুর ডাল খাওয়ার কারণে আমাদের হাড়ের জোড় বাড়ে।
এছাড়াও আমাদের দাঁত ভালো রাখতেও মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কলেস্ট্রল কমাতে সাহায্য করেঃ এখনকার সময়ে বয়স একটু বাড়লেই যেন
কলেস্ট্রল এর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর এই কারণেই এখনকার সময়ে সাধারণ মানুষের
হার্টের সমস্যাও বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদের অবশ্যই শরীরের দিকে একটু প্রথম
থেকেই নজর দেওয়া উচিত। আমাদের শরীরে যেন খারাপ কলেস্ট্রল এর পরিমাণ বেড়ে না
যায়।
কলেস্ট্রল কম থাকলেই আমাদের হার্ট ও সুস্থ থাকবে। আর এই খারাপ কলেস্ট্রল কমাতে
সাহায্য করে মসুরের ডাল। কারণ মসুর ডালে রয়েছে ফাইবার। যা কলেস্ট্রল কমানোর
ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকারী। আপনিও যদি চান আপনার কলেস্ট্রল এর পরিমাণ ঠিক রাখতে
তাহলে নিয়মিত মসুর ডাল খাওয়া শুরু করুন।
বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করেঃ একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই আমাদের ত্বকে
পড়তে শুরু করে বয়সের ছাপ। অস্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার
এর কারণে বয়স বাড়ার আগেই যেন বয়সের ছাপ ত্বকে পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে
মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি যেন একটি বড় ধরনের সমস্যা।
মসুর ডালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে অনেক
বেশি সাহায্য করে। ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে নিয়মিত মসুর ডাল খেতে পারেন। এছাড়াও
মসুর ডালের ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ ব্লাড সুগার বৃদ্ধি মানেই
ডায়াবেটিসের আশঙ্কা। আমাদের আশেপাশে কিংবা আমাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের মতো
সমস্যা সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে। বিশেষ করে বংশগত রোগ হিসেবেও পরিচিত এই
ডায়াবেটিস রোগ।
বংশের যদি কারো এ রোগ হয়ে থাকে তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে বংশের পরবর্তী
জেনারেশনেরও ডায়াবেটিস হবে। তাই আপনারও যদি বংশে ডায়াবেটিস রোগের প্রভাব থাকে
তাহলে এখন থেকেই সতর্ক হওয়া শুরু করুন। প্রথমে যদি সতর্ক না হন তাহলে পরবর্তীতে
এ রোগ থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই।
একবার যদি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে আর করার কিছুই থাকবে না। মসুর ডাল
আমাদের শরীরের ব্লাড সুগার বাড়তে বাধা সৃষ্টি করে। আপনিও যদি চান আপনার শরীরে
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাহলে এখন থেকেই প্রতিদিন মসুর ডাল
খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর
ফাইবার এমন এক ধরনের উপাদান যা আমাদের ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি করে। ফাইবার জাতীয়
খাবার খেলে সেই খাবার অনেকক্ষণ ফেটে স্থায়ী থাকে। আর সেই কারণে বারবার ক্ষুধা
পাই না। যেহেতু ক্ষুধা এর পরিমাণ কমে যায় সেহেতু আমাদের ওজন ও কমতে শুরু করে।
আপনি যদি চান আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে তাহলে প্রতিদিন মসুর ডাল খাওয়া শুরু
করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মসুর ডালে উপস্থিত ভিটামিন সি ও পেপটাইড
আমাদের শরীরে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল হিসাবে বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পাদন করে থাকে।
আর সেই কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়। ফলে আমাদের শরীরে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক
মসুর ডাল আমাদের জন্য উপকারী ঠিক কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মসুর
ডাল আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আমরা সকলেই জানি মসুর ডালে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। সেহেতু অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার কারণে কখনো
কখনো পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আবার যে সকল ব্যাক্তি যারা কিডনি অথবা হার্টের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য মসুর
ডাল একেবারেই উপকারী ডাল নয় বরং এটি তাদের জন্য অপকারী। তাই তাদের উচিত হবে মসুর
ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলতে। এছাড়াও মসুর ডাল খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
অথবা যদি কোন ব্যক্তি গ্যাসের সমস্যায় ভুগেন তাহলে মসুর ডাল খেলে তার গ্যাসের
সমস্যা বেড়ে যাবে। যদি কোন ব্যক্তির এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে মসুর ডাল
খাওয়ার কারণে তার এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
ত্বকের যত্নে মসুর ডাল
আমাদের ত্বকে মসুর ডাল ব্যবহার করলে যেন এক জাদু করি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে মসুর ডাল অনেক বেশি উপকারী। এমনকি মসুর
ডাল ব্যবহার করার কারণে তার রেজাল্ট তখনই লক্ষ্য করা যায়।
আপনার ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে কেনা প্রসাধানি ব্যবহার না করে
প্রাকৃতিক উপায়ে মসুর ডাল দিয়ে সেই সকল সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এতে করে
আপনার ত্বকের সমস্যা সমাধান হবে এবং ত্বক হবে অনেক বেশি উজ্জ্বল। ত্বকের যত্নে
মসুর ডাল এর ভূমিকা গুলো জেনে নিন।
- মসুর ডাল আমাদের ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মসুর ডালের সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে ব্যবহার করুন। কয়েক সপ্তাহেই তফাৎ আপনার চোখে পড়বে।
- আমাদের ত্বকের লোম দূর করতেও মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ত্বকে যদি অতিরিক্ত লোমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্যা সমাধান করতে ব্যবহার করতে পারেন মসুর ডাল। কিছুটা পরিমাণ মসুর ডালের সাথে চালের গুড়া ও দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে এপ্লাই করুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
- আপনি যদি চান আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাক তাহলে আপনি মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন। কিছুটা পরিমাণ মসুর ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পিষে তার সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল পাবেন।
- মসুর ডাল আপনার ত্বকের ফেসওয়াশ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হবে। কিছুটা পরিমাণ গুঁড়ো মসুর ডাল এর ভেতর কাঁচা দুধ নিন এবং সামান্য পরিমাণ হলুদ নিন। এবার ফেসওয়াশের বদলে এটি ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক অনেক সুন্দর দেখাবে।
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সারারাত ভিজিয়ে রাখা মসুর ডাল বেটে তার সাথে লেবু মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের শুষ্কতা ভাব খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আপনারা মসুর ডালে কি এলার্জি আছে আর্টিকেলটি পড়ে মসুর ডাল সম্পর্কে
অনেক তথ্য পেয়েছেন। মসুর ডাল আপনার ত্বকে কিভাবে ব্যবহার করবেন এছাড়াও মসুর
ডালে কোন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং মসুর ডাল খাওয়ার কারণে কি কি উপকার পাওয়া
যায় তা আমি আপনাদের সুবিধার জন্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনিও আপনার
বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে আজ থেকেই খাদ্য তালিকায় এক বাটি মসুর ডাল রাখতে
পারেন।
إرسال تعليق