এমন অনেকেই রয়েছেন যারা পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ এই দুটি লক্ষণ
নিয়ে কনফিউশন এ পড়ে যাই। আপনিও যদি এ ধরনের ব্যক্তির মধ্যে থাকেন তাহলে
নিশ্চিন্তে আমার লেখা পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ এই আর্টিকেলটি
পড়ুন।
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ এর
কনফিউশন দূর করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমার লেখা আর্টিকেলটি করে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য খুঁজে পাবেন।
তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
লক্ষন ছাড়া গর্ভবতী
প্রতিটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন সেই মহিলা কিছু কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন
সে গর্ভবতী হয়েছে। আসুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক একজন মহিলা গর্ভবতী হলে কোন
কোন লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।
মাসিক বন্ধ হওয়াঃ গর্ভবতী হওয়ার সবথেকে বড় লক্ষণ হচ্ছে মাসিক বন্ধ
হওয়া। যখন কোন মহিলা গর্ভধারণ করে তখন সেই মহিলার সেই মাস থেকেই মাসিক বন্ধ হয়ে
যায়। কিন্তু অনেক সময় প্রেগনেন্সি ছাড়াও অন্যান্য কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে।
তাই মাসিক বন্ধ হলেই যে কোন মহিলা গর্ভধারণ করেছে এটি ভাবাও কিন্তু ঠিক নয়।
বমি বমি ভাব ও বমি হওয়াঃ প্রেগনেন্সির আরেকটি বড় লক্ষণ হচ্ছে দিনের
বেশিরভাগ সময় বমি বমি ভাব থাকা। এছাড়াও দেখা যায় একটু পরপর বমি হচ্ছে। এ লক্ষণ
কোন মহিলা গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাস থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বেশি লক্ষ্য করা
যাই।
স্তনের পরিবর্তনঃ কোন মহিলা যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই মহিলার স্তনের
পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর গর্ভধারণের প্রথম দিকেই এই পরিবর্তন খুব সহজেই একজন
মহিলা বুঝতে পারে।
ঘন ঘন প্রসাবের প্রবণতাঃ একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন ঘন ঘন প্রসাবের
প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আর এই লক্ষণ দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়।
এটিও গর্ভধারণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ মহিলা যখন গর্ভধারণ করে তখন একটি বড় সমস্যা হয়ে
দাঁড়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভধারণের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের
কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষ্য করা যায়।
মর্নিং সিকনেসঃ এটি গর্ভধারণের একটি প্রধান লক্ষণ। গর্ভবতী হবার প্রথম
পর্যায়ের দিকে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দিয়ে থাকে।
মেজাজের পরিবর্তনঃ একজন মহিলার গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন হতে দেখা
যায়। কখনো দেখা যায় বেশি আবেগ প্রবণ হয়ে উঠছে আবার কখনো কখনো দেখা যায় মেজাজ
খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় যখন কোন মেয়ে গর্ভধারণ করে থাকে। কিন্তু
অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে একজন মহিলা গর্ভধারণ করলে উপরের সব কয়টা লক্ষণ প্রকাশ
পাবে তা কিন্তু নয়।
অনেক সময় দেখা যায় উপরের বেশ কয়টি লক্ষণ নেই কিন্তু সেই মহিলা গর্ভধারণ করেছে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় উপরের লক্ষণগুলোর মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
কিন্তু সেই মহিলা গর্ভধারণ করে নাই। এটি হতে পারে অন্য কোন রোগের কিংবা সমস্যার
কারণে।
লক্ষণ ছাড়া গর্ভবতীঃ প্রায় প্রতিটি মহিলার ক্ষেত্রেই উপরের উল্লেখিত
লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু কিছু কিছু ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে উপরের
কোনরকম লক্ষণ প্রকাশ পায়নি কিন্তু তাও সেই মহিলা গর্ভধারণ করেছে। তাই অবশ্যই যদি
উপরের কোন একটি লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে প্রথমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে হবে।
তারপর নিশ্চিত হতে হবে কোন মহিলা গর্ভধারণ করেছে কিনা।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সাদা স্রাব
অনেকের মনে প্রশ্ন জানতে পারেন সাদা স্রাব হওয়া কি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। স্রাব
এটি মহিলাদের একটি ন্যাচারাল প্রসেস। একটি মহিলার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে
সাদা স্রাব দেখা দিতে পারে। স্রাব দেখা দেওয়া এটি কোন চিন্তার বিষয় নয়।
এটি একটি মহিলার জীবনের স্বাভাবিক ঘটনাও বলা যেতে পারে। কিন্তু যদি সেই স্রাব এর
কালার ভিন্ন ও দুর্গন্ধ যুক্ত হয় তাহলে তখন সেটি দাড়াই চিন্তার বিষয়। স্রাব এর
রং কেমন হলে আপনাকে চিন্তিত হতে হবে তা জেনে নিন।
হলুদঃ অনেক সময় দেখা যায় দুর্গন্ধ যুক্ত হলুদ রঙের সাদা স্রাব দেখা
দিচ্ছে। এ ধরনের স্রাব দেখা দিলে অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। কারণ এ ধরনের স্রাব
হওয়ার কারণ হচ্ছে যোনিপথের কোন রোগ। তাই যদি এই ধরনের স্রাব দেখা দেয় তাহলে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সবুজঃ কখনো কখনো সবুজ রঙের গারো স্রাব দেখা দিয়ে থাকে। অবশ্যই এ ধরনের
দেখা দেওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে।
লালঃ গর্ভাবস্থায় যদি কোন মহিলার লাল স্রাব দেখা দেয় তাহলে হতে পারে এটি
গর্ভপাতের পূর্ব লক্ষণ। তাছাড়াও যদি কখনো এ ধরনের স্রাব দেখা দেয় তাহলে যত
দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি বিবাহিত হন তাহলে যৌন মিলন থেকে
বিরত থাকতে হবে।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম কোন কোন রং এর স্রাব দেখা দিলে আমাদের তা নিয়ে
চিন্তা করা উচিত। তাছাড়া যদি সাদা রঙের ডিমের সাদা অংশের মতো স্রাব দেখা দেয়
তাহলে এটি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মেয়েদের সাদা স্রাবের পরিমাণ একটু বেশি বেড়ে
যায়। কারণ গর্ভাবস্থায় এই ধরনের স্রাব একটি মহিলার যৌনিপথ এবং জরায়ুর দেয়াল
নরম রাখে। তাই সবশেষে বলা যেতে পারে যে গর্ভবতী হওয়ার একটি লক্ষণ হচ্ছে সাদা
স্রাব দেখা দেয়া।
কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
কোমর ব্যথা এটি যেন সাধারণ মানুষের একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে
শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকলেই এ ধরনের ব্যথা অনুভব করে থাকেন। বিশেষ করে বয়স
বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ধরনের ব্যথার প্রবণতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
কোন মহিলা যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই মহিলা গর্ভাবস্থায় এই ব্যথার সম্মুখীন হয়ে
থাকে। কোমর ব্যথা প্রেগনেন্সির লক্ষণ এটা বলা যাবে না কারণ বিভিন্ন সমস্যার
কারণেও একটি মহিলার কোমর ব্যথা হতে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কোমর
ব্যথা হয় এটা বলা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কেন কোমর ব্যথা হয়ঃ গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা এটি একটি
সাধারণ ঘটনা। প্রায় প্রতিটি মহিলাই গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার সম্মুখীন হয়ে
থাকে। কোন মহিলা যখন গর্ভধারণ করে থাকে তখন তার শরীরের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়ে
থাকে। আমাদের শরীরের প্রতিটি হাড় এক ধরনের টিস্যু দ্বারা একে অপরের সাথে সংযুক্ত
রয়েছে।
তাই যখন কোন মহিলা গর্ভধারণ করে তখন সেই মহিলার শরীর তার ভেতরে থাকা শিশু প্রসব
করানোর জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তাই কোন মহিলার শরীর নিজে
থেকেই প্রাকৃতিক ভাবেই লিগামেন্ট নরম হয় ও ঢিলেঢালা হয়। আর সেই কারণেই একজন
মহিলার কোমর থেকে নিচের অংশে গর্ভাবস্থায় ব্যথা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়ঃ
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভারী জিনিস উঠানো কিংবা নামানো থেকে দূরে থাকতে হবে।
- দুই পারে সমতল যেমন চটি জাতীয় সেন্ডেল ব্যবহার করতে হবে।
- মেঝেতে রাখা জিনিস উঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- বসে থেকে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে মেরুদন্ড সোজা থাকে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।
- হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এটি কোমর ব্যথা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হালকা ধরনের এক্সারসাইজ করতে পারেন।
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লক্ষণ
প্রতিটি মহিলা গর্ভধারণ করার পর বেশ কিছু লক্ষণ এর সম্মুখীন হয়ে থাকে। যে সকল
লক্ষণ দেখেন।একজন মহিলা বুঝতে পারেন যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। সেই সকল লক্ষণ
গুলোর কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পেলেই যে গর্ভধারণ করেছেন এটা ভেবে নাও একদম ঠিক
নয়।
কোনো মহিলা গর্ভধারণ করেছে কিনা এটি নিশ্চিত হওয়ার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে
প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো। কারণ প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে
কোন মহিলা গর্ভধারণ করেছে কিনা। প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের
কাঠি রয়েছে যা খুব সহজেই মার্কেটে পাওয়া যায়। এ ধরনের পরীক্ষার রেজাল্ট
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক হয়।
কিন্তু কখনো কখনো এ ধরনের রেজাল্ট ও ভুল হয়ে দাঁড়ায়। তাই যদি সন্দেহ হয় তাহলে
আপনি যেকোনো ক্লিনিকে গিয়ে তা পরীক্ষা করে আনতে পারেন। গর্ভধারণ হলে একজন মহিলা
প্রথমেই তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখে বুঝতে পারে যে সে গর্ভধারণ করেছে।
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণঃ
- এই সময় মহিলাদের সাদা স্রাবের পরিমাণ সাধারণ তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
- যোনির সামনের অংশ এর রং পরিবর্তন হয়ে গোলাপি রঙের হয়ে যাওয়া।
- মহিলার স্তনের পরিবর্তন অথবা স্তনে হালকা ব্যথা অনুভব করা।
- মর্নিং সিকনেস দেখা দেওয়া।
- হঠাৎ করেই মুড সুইং হাওয়া অথবা মেজাজের পরিবর্তন হওয়া।
- বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
- কোনো কিছু খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়া অথবা আগ্রহ একেবারেই কমে যাওয়া।
- প্রসাব এর চাপ বৃদ্ধি পাওয়া ও বারবার প্রসাব হওয়া।
- মাথা ঘোরা অথবা মাথা ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া।
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
পিরিয়ডের লক্ষণ ও গর্ভাবস্থার লক্ষণ কিছুটা একরকম হলেও এর মধ্যে অনেক ধরনের
পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এই দুটি হচ্ছে একটি মহিলার জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে
জড়িত। তাই আপনাকে পিরিয়ডের লক্ষণ ও গর্ভাবস্থার লক্ষণ এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে
হলে প্রথমে জানতে হবে এই দুটির লক্ষণগুলো কি কি। এখন তাহলে জেনে নিই পিরিয়ডের
লক্ষণ ও গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো কি।
পিরিয়ডের লক্ষণঃ
রক্তপাতঃ পিরিয়ডের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে রক্তপাত হওয়া। এই সময় মহিলাদের
যৌনি পথে দ্বারা রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। যা একজন মহিলার বয়সন্ধিকালে
প্রাকৃতিকভাবেই দেখা দিয়ে থাকে।
পেটে ব্যথাঃ পিরিয়ডের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে পেটে ব্যথা হওয়া। পিরিয়ড শুরু
হওয়ার আগে এবং পিরিয়ড চলাকালীন অনেকের পেটেই মৃদু ব্যথা হয়ে থাকে। কারো কারো
ক্ষেত্রে এই ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।
অস্বস্তিঃ পিরিয়ড চলা-কালীন মহিলাদের মাঝে অস্বস্তি বোধ কাজ করতে দেখা
যায়।
মেজাজের পরিবর্তনঃ পিরিয়ড চলাকালীন মহিলাদের মুড সুইং অথবা মেজাজের
পরিবর্তন খুব সহজেই লক্ষ্য করা যায়।
স্তনের পরিবর্তনঃ কিছু কিছু মহিলার পিরিয়ড চলাকালীন হরমোনের পরিবর্তনের
কারণে স্তনের কিছুটা পরিবর্তন যেমন স্তনের কোমলতা অথবা স্তনের ফোলা ভাব অনুভব করে
থাকেন।
তলপেট ফুলে যাওয়াঃ অনেক মহিলা রয়েছে যাদের পিরিয়ড চলাকালীন তলপেট ফুলে
যায়।
এতক্ষণ আমি আপনাদের সামনে পিরিয়ডের লক্ষণ গুলো তুলে ধরলাম এখন গর্ভাবস্থার লক্ষণ
সম্পর্কে আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থার লক্ষণঃ
মাথা ঘোরাঃ এটি গর্ভাবস্থার একটি লক্ষণ বলা যায়। কোন মহিলা গর্ভধারণ করার
প্রথম দিক থেকেই এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়াঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই একটি মহিলার এই
লক্ষণ প্রকাশ পায়। গর্ভধারণ করার প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে তিন থেকে চার মাস
পর্যন্ত এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
রুচির পরিবর্তনঃ গর্ভাবস্থার আরেকটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে রুচির পরিবর্তন।
হঠাৎ করেই কোন একটি খাবারের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে যায় অথবা কোন একটি
খাবারের প্রতি রুচি একেবারেই কমে যায়।
মেজাজের পরিবর্তনঃ গর্ভাবস্থায় একটি মহিলার মেজাজ এর পরিবর্তন খুব সহজেই
লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ করেই খুব বেশি আবেগপ্রবণ এবং হঠাৎ করেই বিরক্তিবোধ কাজ
করে।
স্তনের পরিবর্তনঃ একটি মহিলা গর্ভধারণ করার কয়েক সপ্তাহ পর তার স্তনের পরিবর্তন
লক্ষ করতে পারে।
মর্নিং সিকনেসঃ গর্ভাবস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে মর্নিং
সিকনেস। ঘুম থেকে উঠেই গর্ভবতী মহিলার মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যায়।
পিরিয়ড মিসঃ গর্ভাবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে পিরিয়ড মিস
হাওয়া। বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রেই এই লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু কিছু কিছু
মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পরেও পিরিয়ড দেখা দিতে পারে।
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণঃ পিরিয়ডের লক্ষণ ও গর্ভাবস্থার
লক্ষণ এর মাঝে কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও এই দুটির লক্ষণ একেবারেই আলাদা।
পিরিয়ডের লক্ষণগুলো শুধুমাত্র পিরিয়ড চলাকালীন প্রকাশ পায় আর গর্ভাবস্থার
লক্ষণগুলো গর্ভের সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ পেতে পারে। তাই এ দুটি
লক্ষণ দেখে খুব সহজেই দুটির পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে দ্যা বর্ষা ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন এবং আর্টিকেল গুলো পড়ুন। দ্যা বর্ষা ওয়েবসাইটে আমরা নির্ভুল ও সঠিক
তথ্য দিয়ে আর্টিকেলগুলো সাজানোর চেষ্টা করেছি।
إرسال تعليق