পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে আপনার যদি না জানা থাকে। তাহলে আজকের
এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা সবাই দেখে থাকি যে পেটে চর্বি হয়। কিন্তু চর্বি
কমানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। যা আজকে আলোচনা করব। তাই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন। তাহলে তল পেটের চর্বি কমানোর
ঔষধ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। এইগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন।
তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো।
ভূমিকা
আমাদের দেশে প্রায় বেশিরভাগ মানুষ এই পেটের চর্বি কমানো নিয়ে খুব চিন্তিত মধ্যে
থাকে। পেটে চর্বি বাড়ার কারনে নানা ধরনের অসুবিধার মধ্যে থাকতে হয়। কোন কাজ করে
শান্তি পাওয়া যায় না। এইটা বাড়ার কারণে আমাদের দেখতেও অনেক খারাপ লাগে। তাই
আজকে আমরা পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়গুলো আপনাদের সামনে আলোচনা করব।
এখানে আরো আলোচনা করব যে ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় এবং কোন খাবার খেলে ওজন
কমে। এই আর্টিকেলে সমস্ত কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধৈর্য সহকারে পড়ুন তাহলে
বুঝতে পারবেন।
৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
সারাদিনে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক সময় আমরা খাওয়ার সময় পায় না। অনেক সময়
বিভিন্ন খাবারের ফলে জমতে থাকে মেদ। এর ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ে অনেক
মানুষ। এইগুলো সমস্যার সমাধান আজকে আমরা নিয়ে আসছি। আজকে আমরা জানবো যে ৭ দিনে
পেটের মেদ কমানো উপায়গুলো সম্পর্কে।
আমরা যদি একটু বুঝে শুনে খাবার খায় তাহলেই শরীরের মেদ অনেক কমে যাবে। বিভিন্ন
সময়ে আমরা বেশি খাবার খাওয়ার ফলে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে
অতিরিক্ত খাবার খেলে পেটের মেদ বাড়তে থাকে। সেজন্য সব সময় খাবার
নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম
করতে হবে তাহলে মেদ বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া
যাক ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।
প্রথম দিনঃ সকল ধরনের খাবার বাদ দিয়ে প্রথম দিন শুধু ফল খেতে হবে।
কলা ছাড়া আমাদের ইচ্ছা মতো যেকোনো ফল খাওয়া যাবে। কলা বাদে যত ধরনের ফল রয়েছে
এইগুলো সমস্ত কিছু প্রথম দিন খাবেন।
দ্বিতীয় দিনঃ দ্বিতীয় দিন আপনাকে খেতে হবে শাকসবজি ইচ্ছামত। প্রচুর
পরিমাণে শাকসবজি খাবেন কিন্তু আলু খাওয়া যাবে না। আলু বাদে সব শাক-সবজি
খেতে পারেন তবে তেল দিয়ে রান্না না করে সেদ্ধ অথবা সালাদ করে খাওয়ার
চেষ্টা করুন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন। যদি আপনি শাকসবজিতে তেল ব্যবহার করেন তাহলে
সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তৃতীয় দিনঃ তৃতীয় দিনেও আপনি কলা খাবেন না। কলা ছাড়া যেকোনো
শাক-সবজি অথবা ফল খাবেন ইচ্ছেমতো। তবে অন্য কোন খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না।
চতুর্থ দিনঃ চতুর্থ দিনে আপনি কলা খাবেন এই দিনে কলা খাওয়া যাবে। এই
দিনে আপনি ৮ থেকে ৯ টি মাঝারি সাইজের কলা ও তিন গ্লাস দুধ খাবেন। তবে এই খাবারের
পাশাপাশি অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
পঞ্চম দিনঃ পঞ্চম দিনে আপনি মাংস খেতে পারেন। তবে সামান্য পরিমাণে
মুরগির মাংস খেতে পারেন। আবার এর সাথে ছয়টি টমেটো সুন্দর করে পরিষ্কার করে খেতে
পারেন।
ষষ্ঠ দিনঃ ষষ্ঠ দিনে আপনি যত ইচ্ছা মুরগির মাংস খেতে পারেন তবে আলু
বাদে। এই আলু বাদে অন্যান্য শাকসবজি আপনি খেতে পারেন।
সপ্তম দিনঃ শেষ দিন অথবা সপ্তম দিন এই দিনে আপনি বাদামী চাল, চর্বি
ছাড়া মাংস ও ফলের রস এবং অন্য সব রকমের শাকসবজি গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে
কোন সমস্যা হবে না।
কিছু সাবধানতা রয়েছে সেগুলো দেখুনঃ
- আপনার মাসে একবারের বেশি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা প্রয়োজন নেই।
- আপনার যদি অন্যান্য কোন অসুখ থেকে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ডায়েট অনুসরণ করবেন না। এতে করে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
- ডায়েটের পাশাপাশি আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে।
কোন খাবার খেলে ওজন কমে
আদা চাঃ আদা হচ্ছে হজমে জন্য অনেক উপকারী। এই আদা চা সারাদিন
দৌড়াদৌড়ি করার সময়ও খাওয়া পড়ে। আদা চা যদি খাওয়া যায় তাহলে
দুশ্চিন্তাজনিত ওজন কমাতেও খুব ভালো সাহায্য করবে।
গ্রিন টিঃ এই গ্রিনটিতে আসে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ এমন কিছু
পুষ্টি উপাদান। যা শরীরের চর্বি কমাতে খুব বেশি কাজে দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি
করাতে এটি খুব ভালো সাহায্য করে। এই গ্রিন টি ক্যান্সারেরও ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন
যদি গ্রিন টি পান করা হয় তাহলে খুব সহজেই ওজন কমে যাবে।
লেবু পানিঃ লেবু পানি আমরা বিভিন্ন কারণে খেয়ে থাকি। শরীর ঠান্ডা
রাখতে লেবু পানি খাওয়া হয়। চিনি ছাড়া লেবু পানি যদি আপনি খেয়ে থাকেন। তাহলে
আপনার শরীরের চর্বি অনেক কমে যাবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। লেবু পানি লিভার
পরিষ্কার রাখে। তাই নিয়মিত লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
মরিচঃ মরিচ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন রান্না করা। কাঁচা
মরিচে রয়েছে ক্যাপসেইসিন নামের এক ধরনের উপাদান। যা শরীরকে সুঠাম করতে খুব ভালো
কার্যকর। কাঁচা অথবা রান্না করা যেকোনো মরিজের ঝাল মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় এবং
এটি নিজে থেকে ক্যালরি বার্ন করে। সেজন্য একটু বেশি করে ঝাল যুক্ত খাবার খেতে
পারেন তাহলে ওজন কমতে পারে।
সাগুদানাঃ যদি আপনি একদম নিরামিষভোজী হয়ে থাকেন তাহলে ওমেগা থ্রি
নিয়ে একদমই চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ সাগুদানায় রয়েছে ওমেগা থ্রি যা ওজন
কমাতে অনেক বেশি সহায়তা করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি
অক্সিডেন্ট ক্যালসিয়াম লোহা ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ওজন কমানোর
জন্য খুব ভালো কার্যকরী।
মাছের তেলঃ মাছের তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকর।
মাছের তেল শরীরে হাড় গঠনে খুব ভালো সহযোগিতা করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও
প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে এই মাছের তেল কার্যকর। মাছের তেল কোমরের এবং
পেটের চর্বি কমাতে খুব ভালো সাহায্য করে। তাই আপনি যদি এই ওজন এবং চর্বি কমাতে
চান তাহলে মাছের তেল খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
দারুচিনিঃ শরীরের মেদ কমাতে এই দারুচিনি খুব ভালো সহায়তা করে। এই
দারুচিনিতে রয়েছে মেটাবলিজম এছাড়াও দারুচিনি শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে
দেয়। যার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
পানিঃ পানি আমরা বিভিন্ন কারণে খেয়ে থাকি। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার
জন্য পানি অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শরীরে পানির ঘাড়তি হলে বিভিন্ন সমস্যা হতে
পারে। তাই পানি সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবো । এ পানি সব সময় খেতে পারেন তাহলে
এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
ওজন কমে যাওয়ার পরে আবার পরে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আর ভুলের কারণে
আপনার ওজন বাড়তে পারে। সেজন্য খাবারের দিকে আপনাকে সঠিকভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যেন কোনো ভাবেই অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস না হয়।
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে থাকলেও তলপেটে চর্বি কমানোর
ওষুধ সম্পর্কে জানা নেই। চলুন জেনে নেয়া যাক। তল পেটের চর্বি কমানোর
আগে আমাদের অবশ্যই আগে জানতে হবে যে কেন আমাদের তলপেটে চর্বি জমে যায়। আমরা যখন
অনেক সময় পর্যন্ত এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করি তখন তলপেটে চর্বি জমে যেতে
পারে। আবার যদি কোন পরিশ্রম না করে সুধু শুয়ে ও বসে থাকি তাহলে চর্বি জমতে
পারে। এইগুলো ছেলে-মেয়ে উভয়ের হয়ে থাকে।
এই বিষয়টি অনেক দুঃখজনক হলেও একটি মানুষের সারা শরীরের মধ্যে এই চর্বি সবচেয়ে
বেশি জমে থাকে তার পেটে। এই চর্বি কমানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকে অনেক
মানুষ। এই চর্বি কমাতে গেলে আমাদের বিভিন্ন জিনিসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন খাবারের দিকে আবার শারীরিক ব্যায়াম এইগুলোর দিকে।
কিছু কিছু মানুষ রয়েছে তারা এই চর্বি কমানোর জন্য কোন পরিশ্রম করে না। শেষ
বয়সে তাদের অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই চর্বির জন্য। সেজন্য এখন থেকেই
আপনাকে সঠিকভাবে এই পেটের চর্বি কমানো উচিত। একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে পেটে
যখন চর্বি হয় তখন দেখতে অনেক খারাপ লাগে। বিভিন্ন কাজকর্ম করতে গেলে অসুবিধায়
পড়তে হয়।
আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে ভালো কোন পোশাক পড়লে আপনাকে দেখতে অনেক খারাপ
লাগবে। ঠিক সে সময় কিন্তু আপনার মাথায় চিন্তা এসে যায় যে কিভাবে তলপেটে
চর্বি কমানো যায়। চর্বি কমানোর ওষুধগুলো খুঁজে বেড়ান। তাহলে চলুন আজকে
আমরা জেনে নেই তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধগুলো সম্পর্কে।
যেভাবে এলোপ্যাথি নিয়মে ওষুধ খাবেনঃ
- অরলিসট্যাট (Orlistat)
- এই ওষুধটি আপনি বাজারে পাবেন। বাজার থেকে নিতে পারবেন একটি রয়েছে ৬০ মিলিগ্রাম এবং দ্বিতীয়টি রয়েছে ১২০ মিলিগ্রাম। যেটা আপনার প্রয়োজন নিতে পারেন।
- এই ওষুধটি আপনার শরীরে কোন চর্বি হলে শেষ চর্বি কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে এবং আপনার পরিপাক তন্ত্রকে সংক্রিয় রাখবে।
- এই ওষুধটি আপনার শরীরের চর্বি কমিয়ে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে সেজন্য এই ওষুধটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে।
- শরীরে যদি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হয়ে থাকে তাহলে আপনার সেক্ষেত্রে এই ওষুধটি অনেক ভালো কাজে দিবে।
- এই ওষুধটি আপনার মস্তিষ্কের কোনোরকম প্রভাব ফেলবে না আপনি সহজে ই নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।
- এই ওষুধটি ব্যবহার করতে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না। এই ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে এর ফলে আপনি দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করতেও পারবেন।
- যে সকল ব্যক্তিদের অতিরিক্ত হারমোটা বা যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্র অতিরিক্ত বেশি তারা এই ওষুধটি চাইলে সেবন করতে পারেন এতে করে কোন সমস্যা হবে না বিশেষ করে উপকারী হবে।
- এই ওষুধটি সেবন করার আগে আপনি অবশ্যই খো ডাক্তারের পরামর্শ দিবেন কারণ এটি নিজে নিজে ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়।
- একটি বিষয়ে আপনি অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন এতে করে আপনার তলপেটের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে ইনশাল্লাহ।
- যেহেতু এই পোস্টটি চিকিৎসা সংক্রান্ত নয় সেজন্য অবশ্যই সেবনের পূর্বে দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
অরলিসট্যাট গ্রুপের কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
অ্যাডিপোনিল (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাগবে।
ডায়েটিল (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম ESKAYEF (SK+F) বাংলাদেশ লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৪০ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৪০০ টাকা লাগবে।
লোয়েট (LOWET) (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
অরলিস্ট্যাট (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
অরলিফিট (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
অর্নিকাল (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম ACI লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
স্লিমফাস্ট (ওষুধের নাম)
- কম্পানির নাম হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
- এক পিস ওষুধের মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
- আর যদি আপনি একপাতা ওষুধ নেন তাহলে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
উপরে আমরা জেনেছি যে তল পেটের চর্বি কমানোর ওষুধগুলো সম্পর্কে। উপরে
যে সকল ওষুধ দেখলেন সেগুলো বাজারে কম বেশি দাম হতে পারে। এগুলো ওষুধ ছাড়াও
আরো বিভিন্ন ধরণের ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনার তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য
সাহায্য করবে। তবে এই ওষুধগুলো নেওয়ার সময় অবশ্যই দেখে শুনে নিবেন
বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকম ওষুধ বাজারে রয়েছে।
কিছু কিছু লোক রয়েছে জেনে না বুঝে যে ওষুধ দেয় সেগুলোই নিয়ে নেয়। সুতরাং
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলব যে কোন ওষুধ কেনার আগে অথবা সেবন করার আগে আপনি
অবশ্যই একজন ভালো দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এরপর আপনি ওষুধ সেবন
করবেন। এতে করে আপনি কোন ক্ষতির মুখে না পড়ে সুস্থ থাকবেন।
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন
পূর্বে আমরা জেনেছি যে তল পেটের চর্বি কমানোর ওষুধ সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো
যে পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে। এইগুলো উপায় অবশ্যই
আপনার জানা প্রয়োজন। কারণ দেশের এখন বেশিরভাগ মানুষ এই সমস্যা গুলো নিয়ে
ভুগছেন কোন রকম সমাধান পাচ্ছেন না। সেজন্য আপনাদের মাঝে আমরা এইটার সমাধান
দেয়ার চেষ্টা করেছি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো।
কোনো বেলার খাবার বাদ দিবেন নাঃ আপনার কোন বেলার খাবার বাদ
দেওয়া যাবে না। কারণ আপনি যদি কোনো বেলার খাবার বাদ দেন আর পরের বেলায় যদি
বেশি পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকেন। তাহলে এতে করে আপনার মেদ বেড়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। অনেকেই রয়েছে সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দুপুরে খাবার
খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু এটা যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা
জানে না। যদি কোন কারণে খাবার বাদ পড়ে যায়। তাহলে পরের বেলায় অতিরিক্ত
খাবার না খাওয়াটাই উচিত।
বড় প্লেটের বদলে ছোট প্লেট বেছে নিনঃ আপনি যদি বড় প্লেটে খাবার
খান। তাহলে আপনি অনেক খাবার খেতে পারবেন। কারণ বড় প্লেটে খাবার বেশি পরিমাণ
ধরে। এতে করে আপনি কারো সাথে গল্প করতে করতে সেই খাবারটুকু খেয়ে ফেললেন
তাহলে পেটের মেদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এইজন্য ছোট প্লেটে খাবার
খাওয়া ভালো। কারণ ছোট প্লেটে খাবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া যায়। এই অল্প
পরিমাণে খেলে চর্বি হবে না।
দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিনঃ আপনি যদি দ্রুত খাবার খেয়ে থাকেন
তাহলে এই অভ্যাসটুকু বাদ দিয়ে দিন। কারণ দ্রুত খাবার খেলে পাকস্থলী থেকে
মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছাতে খুব সমস্যা করে। এতে করে এই খাবারের সমস্যার কারণে
আপনার মেদ বেড়ে যেত পারে। অতিরিক্ত না খেয়ে ধীরে ধীরে মনোযোগ দিয়ে
খাবার খাওয়া ভালো। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় মাইন্ডফুল ইটিং।
সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাবেন নাঃ দাওয়াাত খেতে গেলে অনেক সময় আমরা
সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খেয়ে ফেলি এটার কারণে আমাদের পেটের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। এই চক্র থেকে বের হতে হলে আমাদের সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
অতিরিক্ত খাবারে শরীরের বিভিন্ন রকম ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলো মাথায়
রাখতে হবে। কি পরিমান খাবার খাবেন সেটি অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে। পর্যাপ্ত
পরিমাণে খাবার খেতে হবে এতে করে আপনার মেদ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে
না।
আনমনে খাওয়া পরিহার করুনঃ খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার খাবারের
দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ আপনি কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে আপনার অবশ্যই
মনোযোগ রাখতে হবে। এতে করে পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অনেকে ক্ষুধা
লাগলে টিভি দেখতে দেখতে অনেক বেশি খেয়ে ফেলে। এই খাবার গুলো
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়। কারণ বেশি খাবার খেলে অনেক সমস্যার
মধ্যেই পড়তে হয়। অস্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর খাবার থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি
চর্বি এগুলো চলে আসে। এতে করে পেটের চর্বি বেড়ে যায়। সেজন্য সবসময় খাবারের
দিকে মনোযোগ রাখতে হবে।
মানসিক চাপ মোকাবেলা করুনঃ মানসিক চাপের কারণে পেটের মেদ জমতে
পারে। আপনি যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে মধ্যে থাকেন। তখন কর্টিসল নামের এক
হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমন বৃদ্ধির পেলে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার
প্রবল আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে। তাই মেদ কমাতে মানসিক চাপকে সময়মতো সঠিকভাবে
মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, পছন্দের
কাজ করা ইত্যাদি। যদি আপনার প্রয়োজন হয় তাহলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নিয়ে মানসিক চাপে সাথে মোকাবেলা করতে হবে।
অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন বদলে ফেলুনঃ কিছু কিছু বিশেষজ্ঞরা বলে
যে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে সাথে ওজনের বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি
পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান তাহলে আপনার মেদ বেড়ে যাবে। অতিরিক্ত রাত জাগার
ফলে কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে তখন আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এই অতিরিক্ত
খাওয়ার ফলে মেদ বেড়ে যায়। এইগুলো অস্বাস্থ্যকর ঘুমে রুটিন আপনাকে বাদ দিতে
হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিতে হবে। এতে করে আপনার ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সাদা চাল সাদা দুধের বিকল্প বেছে নিনঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে
সাদা চাল ও সাদা আটার মতো প্রক্রিয়াজাত শস্যদানা পেটের মেদ জমে যাওয়ার
সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে লাল চাল ও ঢেঁকিচাল আঠার মতই গোটা শস্যদানা যা বেশি
খাওয়ার ফলে পেটের মেদ কমানো সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। সেজন্য লাল চাল
ও লাল আটা স্বাদ কম হতে পারে কিন্তু এটি খেলে আপনার পেটে মেদ কমে যাবে।
সেজন্য লাল আটা খেতে সুস্বাদু না হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
শুয়ে বসে না থেকে পরিশ্রম করুনঃ আপনি যদি শুয়ে বসে থাকেন তাহলে
আপনার শরীরে পেটে চর্বি জমে যাবে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম না
করলে আপনার শুয়ে বসে দিন কাটালে আপনার চর্বি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে
যাবে। আপনাকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এইভাবে আপনি
প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করবেন এতে করে আপনার শরীরের চর্বি শুধু কমবে না পাশাপাশি
শরীর অনেক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
প্রিয় বন্ধুরা আমরা উপরে পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা
করেছি এই ৯টি উপায় যদি আপনি প্রতিনিয়ত পালন করতে পারেন। তাহলে আপনার পেটের
চর্বি একেবারে কমে যাবে কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন পরিশ্রম করতে হবে একদিনে হবে না
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
আমরা পূর্বে জেনেছি যে পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে। এখন
আমরা জেনে নিব যে তিন দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়গুলোর সম্পর্কে। চলুন তাহলে
জেনে নিন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ
স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেটের মেদ কমে যাবে। অবশ্যই
চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এইটা বাড়বে।
এইদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন
তাহলে এইটা একদম সর্বোচ্চ ভালো দিক। কারণ নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের
চর্বি সহ নানা ধরনের রোগ সব দূর হয়ে যাবে। শরীরকে শক্ত
রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও অনেক বেশি সাহায্য
করবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমান।
তাহলে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ রাত্রি জেগে
সময় নষ্ট করে ঘুমের অভাব ফেলে দেয়। সে ক্ষেত্রে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে
এবং পেটের মেদ বৃদ্ধি পেতেও পারে। সেজন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের .৭ থেকে ৮
ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
তিন দিনে পেটের মেদ কমে যাবে এটার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। আপনাকে
আমি এই তিন দিনের যে পরামর্শ দিয়েছি এখান থেকে আপনি অনেক ভালো কিছু জ্ঞান
অর্জন করতে পারবেন। এইভাবে আপনি নিয়মিত সামনে গেলে অবশ্যই আপনার পেটের চর্বি
কমে যাবে।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের পেটে মেদ জমে যায়। সাধারণত নারীদের কোমরের
অংশে এই বাড়তি মেদ হয়। অধিকাংশ সময় কম নড়াচড়ার কারণে এই সমস্যা দেখা
দেয়। আমরা আজকে আলোচনা করব যে মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। এর
সঠিক সমাধান দেওয়ার আজকে চেষ্টা করব। আসুন তাহলে তাহলে জেনে নিন।
- সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে আপনার পেটের মেদ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। একদিনে হবে না নিয়মিত এটা করতে হবে।
- শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। শরীরচর্চা ঠিকমতো করতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ ছাড়াই পেট ভরা রাখতে হবে এবং খাবারের তালিকায় চর্বিযুক্ত কোন খাবার রাখা যাবে না। যতোটুকু পারবেন চর্বিহীন প্রোটিন খাবার খাওয়ার। যেমন মুরগি, মাছ, ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশা করি পেটের চর্বি কমানোর ৯টি
সহজ উপায় এবং তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ সে ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট
ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই আর্টিকেলটি
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও জানতে পারবে। তাই দেরি না করে
আপনার বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।
إرسال تعليق