প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে কোনো পোস্ট খুজতাছেন কিন্তু পাচ্ছেন না চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আজকে আমরা এই টপিক নিয়ে আলোচনা করব এবং আরো আলোচনা করবো শিমের বিচির উপকারিতা নিয়ে তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম, শিমের খেলে কি এলার্জি প্রবলেম হয়, সিমের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি নিয়ে এছাড়া ও কিছু বিশেষ টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেগুলো জানতে হলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
বাড়ির আসেপাশে বিভিন্নগাছ বেয়ে শিমের গাছ হয়ে থাকে।শিম শীতকালীন সবজি এটা আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণ সাহায্য করে। শিমে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,আয়রন ,ফাইবার এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি। শিমের ফাইবার থাকে যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি দুর্বল ব্যক্তি নিয়মিত শিম বিচি খাওয়া প্রয়োজন।
তাই প্রত্যেকেরই খাবারের তালিকায় শিম রাখা প্রয়োজন। শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা অনেক শিম খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মত রোগরে প্রতিরোধক আমাদের সৃষ্টি হয়। তাই প্রত্যেকটি মানুষেরই শিম খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। শিমর বিচি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম
গুণের সমৃদ্ধ শিমের বিচি। আমরা নানা উপায় খেতে পারি যেভাবে খায় না শিমের বিচিতে সবসময় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাকে। কাঁচা শিমের বিচি আমরা রান্না করে খেতে পারি।কাঁচা শিমে বিচিকে মাছের সাথে রান্না করলে তরকারির স্বাদ আরো বৃদ্ধি পায়। আবার কাঁচা শিমের বিচি রাতে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেগুলো খোশা ছাড়িয়ে খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আবার সংরক্ষণ করা শিমের বিচি কে বাদামের মতো করে ভেজে খাওয়া যায়। এভাবে খেলে উপকার পাওয়া যায় আবার অনেকেই শুকনা শিমের বিচি দিয়ে সুস্বাদু ডাল রান্না করে। তাই আমরা বলতেই পারি শিম বিভিন্ন উপায় খাওয়া যায়।
শিমের পুষ্টিগুণ
শিম খাওয়া আমাদের প্রতিটা মানুষের জন্যই উপকারী। বাড়ির পাশে বিভিন্ন গাছ বেয়ে হয়ে থাকে শিম গাছ। শিমে প্রচুর পরিমাণ আমিষ পাওয়া যায়।শিম শীতকালে পাওয়া যায় অনেকেই শিম খেতে ভীষণ পছন্দ করে।শিমে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ যা আমাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শিমে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আর আইরন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ আছে।
১০০ গ্রাম শিমের মধ্যে প্রোটিন আছে ৩.৮ গ্রাম ,ক্যালসিয়াম আছে ২১০ মিলিগ্রাম, আঁশ আছে১.৮ গ্রাম, খনিজ উৎপাদন আছে 0.9 গ্রাম এবং ক্যালরি আছে ৪৮ কিলো ক্যালরি। এই সব পুষ্টিগুণ আমাদের দেহ সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই শিমের মৌসুমে আমাদের প্রতিদিনের শিম খাওয়া প্রয়োজন।শিম খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাই।
শিমের বিচির উপকারিতা
শিম একটি জনপ্রিয় সবজি। শিম সবজি শীতকালে খাওয়া হয়।শিমে প্রচুর আয়রনএবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। মধ্যবর্তী পরিবারে সব সময় প্রোটিন পূরণের জন্য মাছ মাংস খাওয়ার সম্ভাব না। শিমের প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আছে শিম খাওয়ার ফলে প্রোটিন চাহিদা পূর করা যায়। শিমের গাছ লতা জাতীয় উদ্ভিদ।
শিম যেমন আমাদের দেহের জন্য উপকারী তেমনি শিমের বিচি আমাদের দেহের জন্য উপকারী। প্রায় প্রতিটি দেশের শিমের চাষ হয়। শিমে প্রচুর ফাইবার থাকে যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সারতে সাহায্য করে। অনেকেই শিম খেতে পছন্দ করে শিম খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চলুন দেখা যাক শিম খাওয়ার ফলে কোন কোন রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ অনেকের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে থাকে। শিম খেলে মস্তিষ্কে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। তাই স্মৃতিশক্তি দুর্বল মানুষদের শিম খাওয়া প্রয়োজন।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ আমাদের অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রবলেম হয়ে থাকে। শিমে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করে।
আমিষের চাহিদা মেটাতেঃ অনেক পরিবারে অভাবের কারণে প্রতিদিন মাছ-মাংস খেতে পারে না। তাই তাদের আমিষ যুক্ত খাবার খাওয়া হয় না। এর ফলে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে তাই আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য শিম খাওয়া প্রয়োজন।শিম প্রচুর পরিমাণ আমিষ পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিসঃ শিম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে শর্করা মাত্রা ঠিক থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগ সেরে যায়।তাই ডায়াবেটিস রোগীরা শিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
হৃদরোগঃ অনেকের হৃদরোগের অসুখ আছে। হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত শিম খাওয়া প্রয়োজন।শিম খাওয়ার ফলে হৃদরোগ রোগ সেরে যায়।
এলার্জিঃ অনেকে এলার্জি প্রবলেম হয়ে থাকে এলার্জি প্রবলেম থেকে মুক্তি পেতে শিম খাওয়া আবশ্যক।
চুল পড়াঃ মহিলাদের একটি নিয়মিত সমস্যা হলে চুল পড়া। এই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য শিম খাওয়া প্রত্যাবাস্যক শিম খাওয়ার ফলে চুল বড় হয় চুল পড়া ভালো হয়ে যায়।
ক্যান্সারঃ শিমে থাকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। তাই শিম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়।
অপুষ্টিঃ গর্ভবতী মায়েদের সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন সাধারণ পরিবারে সবসময় মাছ মাংস বা প্রোটিন জাতীয় খাবার পাওয়া যায় না। এজন্য এই সব পরিবারের পুষ্টি পাওয়ার জন্য শিম খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ শিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়।
আমাশয়ঃ শিম যেমন উপকারী শিমের ফুল ও তেমনি উপকারী। শিম খাওয়ার পরে আবার দেহের বিভিন্ন রোগ সারলেও শিমের ফুল আমাশয় রোগের জন্য সবচাইতে ভালো ওষুধ।তাই আমাশয় হলে শিমের ফুল খাওয়া প্রয়োজন।
শিমের বিচি এলার্জি
আমরা জানি শিমের বিচি দেহের জন্য উপকারী কিন্তু শিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষ শিমের বিচি ভেজে বাদামের মতো করে খাই।শিমের বিচি খাওয়ার ফলে এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে। যাদের অ্যালার্জি প্রবলেম আছে তারা চেষ্টা করবেন শিমের বিচি এড়িয়ে চলতে কারণ শিমে বিচি খেলে এলার্জি বেরে যেতে পারে। তাই এলার্জির সমস্যা যুক্ত রোগীরা চেষ্টা করবেন শিমের বিচি না খাওয়ার।
শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা
শিমের বিচি দেশব্যাপী জনপ্রিয় শিমের বিচি শীতকালীন ফসল হওয়ায় একে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। দুই থেকে তিন দিন রোদের শুকাতে দিলে শিমের বিচি নষ্ট হয় না।এর গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে গ্রামের মানুষরা সাধারণত শিমের বিচিকে ভেজে বাদামের মতো করে খায়।শিমের ভিতরে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।শিমের বিচি গুলোকে বাক্স বন্দি করে রেখে দিলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা অনেক।কাঁচা শিমের বিচি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা হয়।কাঁচা শিমের বিচি তরকারিতে দিলে তরকারির স্বাদ হয়।প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে শিমের বিচি আমিষের উৎস হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ও শিমের বিচি বেশ উপকারী।শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ফাইবার থাকে সব বয়সের মানুষ শিমের বিচি খেলে মুখের রুচি আসে।
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শিমের বিচি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিমের বিচি খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলা সুস্থ থাকে এবং তার পেটের বাচ্চা ও ভালো থাকে। শিমের বিচিতে ভিটামিন বি থাকে যা আমাদের হার্টের মতন রোগ সারতেও কার্যকর।
মেরুদন্ডের হারকে মজবুত রাখতে ও শিমের বিচি খাওয়া প্রয়োজন।শিমের বিচি দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি মানুষের শিমের বিচি খাওয়া প্রয়োজন। তাই আমার চেষ্টা করব শিমের বিচি সংরক্ষণ করে। পরবর্তী সময় শিমের বিচি খাওয়ার। শিমের বিচি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে
শিম খাওয়ার তুলনায় শিমের বিচি অনেকেরই পছন্দ। অনেকেই মনে ধারণা শিমের বিচি খাওয়ার ফলে কি ওজন বাড়ে। আজকে আপনাদেরকে আমরা এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করে দেখাবো। যারা অতিরিক্ত মোটা কিন্তু স্বাস্থ্যকে কমাতে চান তারা২০ থেকে ৫০ গ্রাম শিমের বিচি গ্রহণ করতে পারেন। সঠিক পরিমাণে শিমের বিচি খাওয়ার ফলে মোটা হয় না।শিমের বিচি খাওয়ার ফলে মানুষ মোটা হয় না তাই আমরা শিমের বিচি খেতে পারি।
শিমের বিচির খাওয়ার অপকারিতা
শিম একটি পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ যুক্ত সবজি। শীতকালে শিমের ভর্তা আর কালার রুটি সবার কাছে জনপ্রিয়। শিমপুষ্টি গুনে ভরপুর।শিমে প্রচুর পরিমাণ উপকারিতা আছে কিন্তু কিছু অপকারিতা ও আছে যা মাথায় রেখে শিম গ্রহণ করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত শিম খাওয়ার ফলে শরীরে অস্বস্তি ভাব সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত শিম খাওয়ার ফলে বমি বমিভাব ও মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। অনেকের শিম খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি প্রবলেম হয়। এলার্জি প্রবলেম সৃষ্টি হলে শিম খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই শিমের উপকারিতা অপকারিতা মেনে শিম খাওয়া প্রয়োজন।শিমের অপকারিতা চাইতে উপকারিতা বেশি।
অবশেষে বলা যায়
শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা অনেক কিন্তু শিমের বিচির কিছু অপকারিতা আছে যা মাথায় রেখে আমাদের শুকনা শিমের বিচি খেতে হবে। তাই আমরা চেষ্টা করব শুকনা শিমের বিচি খাওয়ার। প্রিয় বন্ধুরা আমাদের শুকনো শিমের বিচির উপকারিতার পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষন মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ পরবর্তী পোস্ট পাওয়া পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
إرسال تعليق